শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

ভেনিসের মসজিদে নামাজে নিষেধাজ্ঞা, পার্কে হাজার মুসল্লির জুমা আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০২ মে ২০২৫, ২২:৫০
ছবি-সংগৃহীত

ইতালির ভেনিসে মসজিদুল ইত্তেহাদে নামাজ পড়ায় প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতে মসজিদে জামাত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, মসজিদ কর্তৃপক্ষ আজ স্থানীয় একটি পার্কে জুমার নামাজের আয়োজন করেন।

খোলা আকাশের নিচে হাজারখানেক মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে নামাজস্থলে ছিলো পুলিশের টহল। 

মসজিদুল ইত্তেহাদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন, ইতালির একজন প্রভাবশালী সিনেটর তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন। তবে ইমামের ধারণা, সিনেটার ব্যস্ত মানুষ, তাকে ভুলভাবে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

মসজিদুল ইত্তেহাদ পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ সম্রাট বলেন, প্রশাসনের সাথে তাদের কথা হয়েছে- প্রশাসন নামাজের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজছে যতদিন বিকল্প জায়গা না হয়- তারা পার্কেই জুমার নামাজ আদায় করবেন।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় আচার পালন করতে চান। প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের কষ্ট দিয়েছে। তারা মনে করেন, এ জাতীয় আইন বা নিষেধাজ্ঞা ইতালির সভ্য সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক।

এদিকে, মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন- তারা ইতোমধ্যে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং মসজিদে আবার নামাজ চালুর আশ করেন।

মসজিদুল ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে 'মসজিদ বিরোধী আইন' নামে পরিচিত একটি আইনের বিরুদ্ধে এককভাবে লড়াই করছে। তারা এই আইনটির বাতিল চায়। 

ওই আইনে বলা হয়েছে, নামাজ পড়তে হলে- শহরের বাইরে গিয়ে মসজিদ করতে হবে, যা অসম্ভব প্রায়। কারণ মুসলমানরা প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। 

এই আইনের বিরুদ্ধে মসজিদুল ইত্তেহাদ এককভাবে লড়াই করলেও ভেনিসের অন্যান্য মসজিদ কর্তৃপক্ষকে তাদের পাশে কখনো দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর জুন জুলাই মাসেও মসজিদুল ইত্তেহাদ বন্ধ করার প্রতিবাদে কর্তৃপক্ষ পার্কে প্রায় তিন মাস নামাজ আদায় করেছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

মন্তব্য করুন