বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০২৪ সালে আশ্রয় চাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন ইউরোপের দেশ ইটালিতে৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে৷ তাছাড়া শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত বাংলাদেশিদের সংখ্যাও বেড়েছে৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটি জানায়, বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।
বেড়েছে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থী
গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলদেশিদের আশ্রয়ের আবদনের সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে৷ ২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ১৩১ বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন৷ তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ৮৬৭জন।
একই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের নথিভূক্ত বাংলাদেশি শরণার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে৷ ২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ২৮ হাজার ৪৭৩ বাংলাদেশি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার শরণার্থী হিসেবে নথিভূক্ত হয়েছেন৷ তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ১২৬।
বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের চিত্র
২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশ ইটালি রয়েছে তালিকার শীর্ষে৷ দেশটিতে ওই বছর ৩২ হাজার ৮৬৩ বাংলাদেশি নতুন করে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।
তালিকায় দ্বিতিয় অবস্থানে রয়েছে উত্তর অ্যামেরিকার দেশ ক্যানাডা৷ ২০২৪ সালে দেশটিতে মোট ১৫ হাজার ৭৩৬ বাংলাদেশি নতুন করে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন৷ এদিকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ ২০২৪ সালে এই দেশটিতে মোট ৩ হাজার ৪১৯ বাংলাদেশি নতুন করে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।
বিশ্বজুড়ে শরণার্থী সংখ্যা বেড়েছে
২০ জুন আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর৷ সংস্থাটি জানায় ২০২৪ সালে বিশ্বে মোট শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২২ লাখ৷ এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৭০ লাখ বেশি।
সংস্থাটি বলছে, ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত সময়ে বিশ্বে প্রতি ৬৭ জনে একজন মানুষ শরণার্থী৷ এই শরণার্থীদের সবচেয়ে বেশি আফ্রিকার দেশ সুদানের, দ্বিতীয় অবস্থানে সিরিয়া, তৃতীয় অবস্থানে আফগানিস্তান এবং চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইউক্রেনীয়রা।
মন্তব্য করুন
