অনিয়মিত পথে অভিবাসীদের গ্রিসে নিয়ে আসা ও জাল নথিপত্র তৈরির সঙ্গে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ২০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গ্রিক পুলিশ। অভিযুক্তদের বেশিরভাগই সিরিয়া ও মিশরের নাগরিক।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় একযোগে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রটি ৫০০টিরও বেশি পাচারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তারা এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ইউরো হাতিয়ে নিয়েছে।
অভিযানে চারটি জাল নথি তৈরির ল্যাবের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলোতে নকল পাসপোর্ট ও সিল বানানো হতো৷ গ্রিক পুলিশ জানিয়েছে, এসব নকল পাসপোর্টের প্রতিটি অভিবাসীদের কাছে চার হাজার ইউরোর বেশি দামে বিক্রি করা হতো।
জব্দ করা সামগ্রীর মধ্যে বিপুল পরিমাণ জাল পাসপোর্ট, নকল সিল, টাকা এবং নথি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, চক্রের মূল হোতা গ্রিসের পেরিস্টেরি শহরে একটি বড় জালিয়াতি ল্যাব পরিচালনা করতো এবং তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর মতে, চলতি বছরের শুরু থেকে মে মাস পর্যন্ত গ্রিসে প্রায় ১২ হাজার ৮০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রবেশ করেছেন।
তাদের অনেকেই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশ থেকে এসেছেন এবং পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে ইউরোপের অন্যান্য দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
গ্রিক পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযান বৃহত্তর আন্তর্জাতিক পাচার নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে সহায়ক হবে বলে তারা আশা করছে।
মন্তব্য করুন