উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আন্দোলন করছেন ‘জুলাই আন্দোলন’-এ চোখে আঘাতপ্রাপ্তরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ‘জুলাই আন্দোলন’-এ চোখে আঘাতপ্রাপ্ত কয়েকজন আন্দোলনকারী উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
তাদের আন্দোলন ক্রমেই উত্তপ্ত ও সহিংস রূপ নিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্দোলনকারীদের একজন বিষ পান করেছেন, কেউ কেউ পেট্রল নিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।
এছাড়া, হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখা, কর্মচারীদের হুমকি দেওয়া, ভাঙচুরের চেষ্টা এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা। নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে তাঁরা আজ কর্মবিরতিতে যান।
এদিকে জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন স্টাফকে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অবরুদ্ধ কর্মচারীদের পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করা হচ্ছে।
বর্তমানে হাসপাতালের ভেতরে রোগী ও কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের ২০ জন এবং আনসার বাহিনীর আরও ২০ জন সদস্য। এছাড়া, একটি সেনা টহল দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এদিকে তাদের আন্দোলন ক্রমেই উত্তপ্ত ও সহিংস রূপ নিচ্ছে অভিযোগ তুলে নিরাপত্তার দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কর্মচারীরা। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
ক্রমে বাড়তে থাকা উত্তেজনার ফলে হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন