রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাড়ছে জোয়ারের পানি, আতঙ্কে গ্রামবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ৩০ মে ২০২৫, ১৬:৩৯
ছবি-সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের কারণে খুলনার কয়রা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভাঙ্গার আশংকা দেখা দিয়েছে। ফলে ভাঙন ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে মিলে স্থানীয়রা কাজ করছে।

কয়রা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের তীরে জোয়ারের পানির ধাক্কায় ভোরে বেড়িবাঁধের কিছু অংশের স্লাপ ভেঙে যায় এবং ফাটল ধরে। এতে নদীপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং আশপাশের ফসলি জমি ও মাছের ঘের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাতে অস্বাভাবিক উচ্চতায় পানি আসে। পরদিন ভোরে পানি নামতে শুরু করলে হরিণখোলা এলাকায় কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী বেড়িবাঁধে বড় ধরনের ফাটল দেখা যায়। ধস ঠেকাতে নিজেরাই কাজ শুরু করেছি।

স্থানীয় আল শাহরিয়ার বলেন, রাতের জোয়ারের পানির ধাক্কায় বাঁধের অনেক অংশে ফাটল ধরে। জিও ব্যাগ দিয়ে এবং রিং বেধে ভাঙন ঠেকানোর কাজ চলছে। নইলে রাস্তাসহ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মনি শংকর রায় জানান, ভাঙন ঠেকাতে রিং বাঁধ বেঁধে মোটামোটি ভাঙন আটকানো হয়েছে। তবে রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখনও ভাঙন ঠেকাতে কাজ চলছে। সকলের উদ্যোগে এ বাঁধ টেকসই করতে স্থায়ী সংস্কার প্রয়োজন।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নিম্নচাপের কারণে অস্বাভাবিক জোয়ার থাকায় কিছু অংশে ফাটল দেখা দেয়। স্থানীয়রা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে স্থায়ী সংস্কারকাজ শুরু হবে।

কয়রা উপজেলার নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, বাঁধ এখনো ভেঙে যায়নি। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কাজ করছে।

মন্তব্য করুন