শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আইন মন্ত্রণালয়ে তালা দেওয়ার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২৬ মে ২০২৫, ১৬:১৮
ছবি-সংগৃহীত

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ে বিক্ষোভরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। 

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কো-চেয়ারম্যান বদিউল কবির ও নুরুল ইসলাম সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।

আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিক্ষোভ শুরু হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। যতক্ষণ পর্যন্ত অধ্যাদেশ বাতিল না হবে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।  

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো আজ সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। এই অবস্থায় বিক্ষোভরত কর্মচারীদের সঙ্গে বসার কথা ছিল আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের। কিন্তু সেই বৈঠকটি আর হচ্ছে না।

সোমবার বেলা ২টায় সচিবালয়ে বিক্ষোভরত কর্মচারীদের সঙ্গে আইন উপদেষ্টার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আইন মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।

পরে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকায় বিক্ষোভরত কর্মচারীদের সঙ্গে বসতে পারছেন না আসিফ নজরুল। এ কারণে বৈঠকটি বাতিল হয়ে যায়। 

এর আগে, এদিন বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের বাদামতলায় এসে জড়ো হন কর্মচারীরা। পরে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে তারা বিক্ষোভ করেন।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান কর্মচারীরা। তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়ারা বলেন, কালাকানুন যুক্ত করে প্রণীত অধ্যাদেশ কেউ মানবে না। ১৯৭৯ সালের সরকারি চাকরির বিশেষ বিধান ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করেছেন। এই বাতিল বিধান পুনরুজ্জীবিত করার মানে নতুনভাবে বিতর্ক তৈরি করা। বর্তমান সরকার সেই কাজটিই করেছে। 

এর ফলে কর্মচারীদের অধিকার খর্ব হবে, তারা কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়বে। কাজেই এই অধ্যাদেশ বাতিল করতে হবে। অন্যথায় যে কোনো মূল্যে এটা প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের সব রুমে তালা দেবেন বলে ঘোষণা করেন।

মন্তব্য করুন