রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এ যেন ফাইনালের আগেই আরেক ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্ক
  ০৭ মে ২০২৫, ১২:২৩

এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। অবিশ্বাস্য লড়াই, নাটকীয় পালাবদল আর চরম এক কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপহার দিল ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনা। দিনশেষে এক দল জয়োল্লাস করে ফাইনালে উঠলেও অন্য দলও তাই মাঠ ছেড়েছে মাথা উঁচু করেই।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে সিমোনে ইনজাগির দল।

এদিন আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, ইন্টারের শক্তিধর খেলোয়াড়দের ক্ষিপ্রগতির ফুটবল আর বার্সেলোনার মেধাবী তরুণদের পায়ের কারিকুরিতে পুরো ম্যাচজুড়েই ফুটবলের সত্যিকারের নির্যাস উপভোগ করার সুযোগ হয় দর্শকদের।

তবে বার্সেলোনার মাঠ থেকে ৩-৩ গোলে ড্র করে আসা ইন্টার নিজেদের মাঠে এদিন প্রথমার্ধে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ম্যাচের ২১তম মিনিটে লাউতারো মার্তিনেস এবং বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে পেনাল্টি থেকে হাকান চালানোলু দ্বিতীয় গোল করলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করেই ড্রেসিংরুমে যায় স্বাগতিকরা।

তবে বিরতির পর পরপর দুই গোল করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে বার্সেলোনা। ৫৪তম মিনিটে এরিক গার্সিয়ার চকিতে করা গোল এবং তার ছয় মিনিট পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান দানি অলমো।

এরপর ৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনাকে একটি পেনাল্টি দিয়েও রিভিউ করে তা বাতিল করে দেন রেফারি। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে তৃতীয় গোলটি করে দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনাকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।

শেষ মুহূর্তে রাফিনিয়ার ওই গোলে বার্সেলোনা যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে, তার মধ্যেই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফ্রান্সেসকো আচেরবির গোলে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে ইন্টার। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।

অতিরিক্ত সময়ে প্রথমার্ধেই ৯৯তম মিনিটে আরও একটি গোল করে স্বাগতিকদের ফের লিড এনে দেন দাভিদে ফ্রাত্তেসি। এরপর থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত দলটির ওপর আক্রমণের বুলডুজার চালায় বার্সেলোনা। 

বেশ কয়েকটি অসাধারণ সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তার কয়েকটি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে ও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় এবং অসাধারণ নৈপুণ্যে আরও কয়েকটি ঠেকিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান জমার। ফলে আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মেনে মাঠ ছাড়তে হয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের।

এর ফলে ছয় বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেও বিদায় নিতে হলো কাতালান জায়ান্টদের। এর সঙ্গে দলটির কোয়াড্রাপল জয়ের স্বপ্নও ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল।

বুধবার অপর সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে খেলতে নামবে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে দলটির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল মিকেল আর্তেতার দল। ফলে ফাইনালের টিকিট কাটতে প্রতিপক্ষের মাঠে বিশেষ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির।

মন্তব্য করুন