আগামী ডিসেম্বর-জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে। এই সময়ে যাবতীয় সংস্কার কাজ চলতে থাকবে। এটাই প্রধান উপদেষ্টার কথা। নির্বাচন নিয়ে ড. মোহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেও বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বারবার নয় একাধিকবার বলেছেন। এরপরও কোন দল কী বললো সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় রোমের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলেই নির্বাচনের তারিখ জানানো হবে। পুরো বিষয়টি চলমান। নির্বাচনের বিষয়ে সরকার যথেষ্ট সজাগ। তাছাড়া আমরা অপ্রয়োজনীয় কারণে একটি দিনও দেরি করবো না। সংস্কার শেষ হলেই নির্বাচন। অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ বছর দেখতে চায় দেশের মানুষ এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, জনগণ চাইতেই পারে।
এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টার রোমে পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, পোপের সঙ্গে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ভ্যাটিকানের সাথে সেই সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বিরামহীন সফর দোহার থেকে সরাসরি রোমে এসে পোপের শেষকৃত্যে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এ সময় বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের। পোপকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কমপক্ষে একশ ত্রিশ দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা ভ্যাটিকানে আসেন।
তিনি আরও বলেন, ইতালির রোমে আসার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়া মোহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ নিতে সময় চেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনের সময় ভ্যাটিকানের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন। এভাবেই চলতে থাকে বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ।
ইতালিতে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোট-বড় অনেক বাংলাদেশি গার্মেন্টস উদ্যোক্তা রয়েছে। সেখানে প্রায় একশ বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এভাবে আরও অনেক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে ইতালির মাটিতে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, শুনে খুশি হবেন ইদানীং বাংলাদেশ থেকে সিরামিক আসছে। এভাবে বাংলাদেশের মার্কেট আরও প্রসারিত হচ্ছে ইতালিতে।
এ সময় জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলমসহ রোম দূতাবাসের একাধিক কর্মকতা।
মন্তব্য করুন