গ্যাসের সমস্যা সহজে কমে না। ভারী কিছু খেলেই পেট ভার, পেট ফাঁপায় নাজেহাল হতে হয়। ওষুধ খেয়েও যে বিশেষ লাভ হয়, তা নয়। সাময়িক আরাম পাওয়া যায় ঠিকই, তবে তা স্থায়ী নয়।
এখন অধিকাংশ মানুষই বাড়ির খাবারের চেয়ে বাইরের খাবারের প্রতি বেশি নির্ভরশীল। সময়ের অভাবে অনেকেরই রান্না করা হয়ে ওঠে না। ফলে অফিসের টিফিন থেকে রাতের খাবার— পেট ভরাতে ভরসা বাইরের তেল-ঝাল-মশলাদার পদ।
নিয়মিত এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগেই আছে। আর ওষুধ এক বার খেলে তা নিয়মিত খেয়ে যেতেই হয়। তাতে উপসর্গগুলি কম থাকে, তবে রোগ সারে না। ওষুধ বন্ধ করলে ফের গ্যাস-অম্বল মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাই যদি গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে রেহাই পেতে হয়, তা হলে শুধু ওষুধ নয়, খেতে হবে একটি বিশেষ ধরনের ‘ডিটক্স’ পানীয়।
গ্যাসের সমস্যা কেন ভোগায়?
অতিরিক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বা খুব বেশি প্রোটিন যেমন মাছ, মাংস, ডিম খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, বেশি চিনি দেওয়া পানীয়ও এর জন্য দায়ী। ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম’ থাকলে হজমের সমস্যা আরও বাড়ে। তা ছাড়া যাঁরা ল্যাক্টোজ় বা গ্লুটেনে সংবেদনশীল, তাঁদের গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়। আবার ‘আলসারেটিভ কোলাইটিস’ থাকলে অন্ত্রে প্রদাহ বেড়ে যায়। তার থেকেও গ্যাসের সমস্যা ভোগাতে পারে।
কোন পানীয় খেলে সারবে?
উপকরণ
আধ চা-চামচ আদার পাউডার
এক চিমটে হিং
আধ চামচ সৈন্ধব লবণ
আধ চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
এক কাপ ঈষদুষ্ণ জল
প্রণালী
এক কাপ জলে আদার পাউডার, হিং, সৈন্ধব লবণ দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। সেই জল ছেঁকে নিয়ে তার সঙ্গে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মেশান। খানিক ঠান্ডা করে ঈষদুষ্ণ জল পান করতে হবে।
সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে সারা দিন গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা ভোগাবে না। ভারী কিছু খেলে বা নিমন্ত্রণ বাড়িতে খেয়ে এসে পেট ভার হলে তখন নরম পানীয় না খেলে এই পানীয় পান করতে পারেন। এতে পেট ফাঁপার সমস্যা দূর হবে। নিয়মিত এই পানীয় খেলে গ্যাসের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
মন্তব্য করুন