শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

দিল্লির হামলার আতঙ্কে পাকিস্তানে সব মাদরাসা বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০২ মে ২০২৫, ১৫:৪২
ছবি-সংগৃহীত

নয়াদিল্লির সঙ্গে চলমান উত্তেজনার জেরে যেকোনো সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী হামলা চালাতে পারে— এমন আশঙ্কায় ১০ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে পাকিস্তান শাসিত আজাদ কাশ্মীরের সব মাদ্রাসা। বৃহস্পতিবার এক সরকারি নোটিশে জারি করা হয়েছে এ আদেশ।

যদিও বন্ধের বিষয়টি  স্বীকার করতে চাননি পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা।  ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তারা বলেছেন যে, গরম ও তাপপ্রবাহের জন্য মাদ্রাসাগুলোতে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

তবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ধর্মবিষয়ক দপ্তরের পরিচালক হাফিজ নাজির আহমেদ জানিয়েছেন, উত্তেজনার আবহে পাকিস্তানের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ভারতের সামরিক বাহিনী— মূলত এমন আশঙ্কা থেকেই বন্ধ করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলো।

হাফিজ নাজির আহমেদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা দুই ধরনের তাপপ্রবাহের মুখোমুখি— একটির উৎস আবহাওয়া এবং অপরটির উৎস (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদি। 

গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমরা আজাদ কাশ্মির ও গিলগিট-বাল্টিস্তান প্রশাসনের সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং সে বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে এই ছুটির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা আমাদের মাদ্রাসার নিরপরাধ শিশুদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চাইনা। 

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দুই অঞ্চল আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তানে মোট ৪৪৫টি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ হাজারেরও বেশি। 

পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার জন্য ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে দায়ী না করলেও তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কার ও সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের মতো বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নেয়।

পালটা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও। এই আবহেই গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান হামলার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন