প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে যাচ্ছে পাকিস্তান। আগের বছরের বাজেটের তুলনায় আসন্ন অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে ১৭ শতাংশ খরচ বাড়াবে তারা। গত মাসে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার পরই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশটি। পাশাপাশি চীন থেকে অস্ত্র আমদানি বাড়াতে চাচ্ছে ইসলামাবাদ। খবর ব্লুবার্গের।
আসন্ন অর্থবছর নিয়ে মঙ্গলবার পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি নথি প্রকাশ করেছে। ওই নথি অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে শেহবাজ শরিফ সরকার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার বা দুই দশমিক ৫৫ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি খরচ করতে চায়। যা আগের অর্থবছরে ছিল দুই দশমিক ১৮ ট্রিলিয়ন রুপি।
টালামাটাল অর্থনীতিতে থাকা পাকিস্তান প্রচুর অর্থ খরচ করছে ঋণের সুদ পরিশোধে। এরপরই প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে তারা।
ব্লুমবার্গ বলছে, গত মাসের চারদিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় পারমাণবিক ক্ষমতাধর ভারত ও পাকিস্তান। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় দুদেশই। গত এপ্রিলে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীরে বন্দুকধারীর হামলার জেরেই এ সংঘর্ষে জড়ায় দেশ দুটি। কাশ্মীরের হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইসলামাবাদ।
সংঘর্ষের সময় ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান। এসব যুদ্ধবিমান ভূপাতিতে তারা ব্যবহার করে চীনের নির্মিত জেড-১০সি যুদ্ধবিমান। এরপরেই সারাবিশ্বে কদর বেড়ে যায় চীনা অস্ত্রের।
গত সপ্তাহে পাকিস্তান জানায়, চীন ৪০টি জে-৩৫ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, কেজে-৫০০প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও এইচকিউ-১৯ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে।
ব্লুমবাগ বলছে, চীন থেকে বিরাট পরিমাণে অস্ত্র আমদানি করে পাকিস্তান। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীন থেকে পাকিস্তানের অস্ত্র আমদানি বেড়েছে ৮২ শতাংশ। আর ২০০৯-১২ সালে বেড়েছিল ৫১ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
