সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

এক হচ্ছে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ২১ জুন ২০২৫, ১২:৪৬

ত্রিপক্ষীয় নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে এ প্ল্যাটফর্ম গঠনে সম্মত হয়েছে দেশ তিনটি।

চীনের কুনমিং শহরে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। পরদিন শুক্রবার (২০ জুন) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।

বৈঠকে তিন দেশই জোর দিয়ে বলেছে, চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ সহযোগিতা সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা ও উন্মুক্ত আঞ্চলিকতাকে অনুসরণ করে। এই সম্পর্ক যে তৃতীয় কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে নয়, তা-ও উল্লেখ করা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইদং এবং পাকিস্তানের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী অংশ নেন। বৈঠকের প্রথম ধাপে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালোচ অংশগ্রহণ করেন।

তবে বৈঠকের ফলাফলের বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

সান ওয়েইদং বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যতের এক অভিন্ন সমাজ গড়তে চীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান- উভয়ই চীনের ভালো প্রতিবেশী, বন্ধু ও অংশীদার। পাশাপাশি তারা উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারও বটে।

চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং আঞ্চলিক অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে এই তিন দেশের সামনেই রয়েছে জাতীয় পুনরুত্থান ও আধুনিকায়নের লক্ষ্য, যা অর্জনে প্রয়োজন শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ।

ওয়েইদং বলেন, চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ সহযোগিতা তিন দেশের জনগণের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এই ত্রিপাক্ষিক সহযোগিতার মূল লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

তিনটি দেশই শিল্প, বাণিজ্য, সামুদ্রিক বিষয়, পানিসম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মানবসম্পদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও তরুণ সমাজসহ বিভিন্ন খাতে প্রকল্প অনুসন্ধান ও বাস্তবায়নে একমত হয়েছে।

বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের জন্য ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করতেও সম্মত হয়েছে তিন দেশ।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বৈঠক ছিল বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ত্রিপাক্ষিক ব্যবস্থার ‘প্রথম বৈঠক’। দেশটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এই বৈঠকে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদার এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানান ক্ষেত্র যেমন- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি, ডিজিটাল অর্থনীতি, পরিবেশ সুরক্ষা ও সমুদ্রবিজ্ঞান, সবুজ অবকাঠামো, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সহযোগিতা গভীর করার বিষয়ে একমত হয়েছে তিন দেশ।

মন্তব্য করুন