গাজায় এখনো ইসরায়েলের বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া একটি স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় ৭১ দিন ধরে সম্পূর্ণ অবরোধ জারি রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে অবরোধের কারণে ওই এলাকায় কোনো খাবার, ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস প্রবেশ করতে পারছে না।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, মার্কিন-ইসরায়েলি বন্দি এডেন আলেক্সান্ডারকে মুক্তি দেবে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা। এই পরিকল্পনার মধ্যে গাজা পুরোপুরি দখল ও ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো বিষয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে হাজার হাজার সংরক্ষিত সেনা ডেকে পাঠিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা ও হামাসকে পরাজিত করতে চাপ বাড়ানোকে তারা কারণ হিসাবে বর্ণনা করেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরেই এই পরিকল্পনা কার্যকর হতে পারে।
প্রাইভেট কোম্পানির মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহ ও বিতরণের একটি পরিকল্পনার অনুমোদনও দিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা। এর ফলে দুই মাস ধরে সেখানে ত্রাণ সরবরাহে যে অবরোধের অবসান হতে পারে। ওই অবরোধের কারণে সেখানে খাবার ও অন্যান্য জরুরি জিনিসপত্রের ব্যাপক সংকট দেখা গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৮২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ জন আহত হয়েছেন। তবে সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বলে জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন