রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

লিবিয়ার উপকূলে ভেসে এলো ৬ অভিবাসীর মরদেহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৬ মে ২০২৫, ১৬:২৫

লিবিয়ার মিসরাতা শহরের উপকূলে ভেসে আসা অন্তত ছয় অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের একজন কর্মী এ তথ্য জানিয়েছেন৷

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রেড ক্রিসেন্টের মিসরাতা শাখার প্রধান মাখরুফ করিম বলেন, ১ মে সকালে শুরুতে চারটি মরদেহ পাওয়া যায়৷ ওইদিন সন্ধ্যায় আরো দুটি মরদেহের খোঁজ মেলে৷ 

তিনি আরো জানান, লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে পূর্ব দিকে মিসরাতার অবস্থান৷ শহরটির দূরত্ব ত্রিপোলি থেকে প্রায় দুইশো কিলোমিটার৷ উপকূলে আর কোনো মরদেহ ভেসে আসে কিনা, সেজন্য ২ মে পর্যন্ত টহল দেয়া হয়৷

গত ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ার নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দুটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে৷ সেখান থেকে মোট ৯৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের আফ্রিকা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রোজমেরি ডিকার্লো৷

তিনি বলেছিলেন, ‘‘মানবপাচারকারী পরিচালিত বন্দিশিবিরে অভিযানের পর গণকবর খুঁজে পাওয়ার ঘটনাটি খুবই উদ্বেগজনক এবং মর্মান্তিক৷ এর মধ্য দিয়ে লিবিয়ায় অভিবাসীরা কতটা ঝুঁকি ও বিপদের মধ্যে থাকে, সেই চিত্রটি উঠে এলো৷’’

লিবিয়াতে গণকবর শনাক্তের ঘটনা এটি প্রথম নয়৷ গত বছর দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণের শুয়ারিফ অঞ্চলের একটি গণকবর থেকে অন্তত ৬৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল৷ 

২০১১ সালে ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহে দেশটির শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই লিবিয়া হয়ে উঠেছে ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে অন্যতম ট্রানজিট দেশ৷ 

এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীরাই ট্রানজিট দেশ হিসাবে লিবিয়াকে বেছে নেন৷ 

আর সেখানে অভিবাসীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে থাকে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা৷ চাদ, নাইজার, সুদান, মিসর, আলজেরিয়া এবং টিউনিশিয়াসহ ছয়টি দেশের সীমান্ত দিয়ে অভিবাসীরা আসেন লিবিয়ায়৷ সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে মানবপাচারে জড়িত চক্রগুলো৷

মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো লিবিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পদ্ধতিগতভাবে জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা, মারধর, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে৷

ভূমধ্যসাগর থেকে যেসব অভিবাসীদের আটক করা হয় তাদের সরকার পরিচালিত বন্দিশিবিরে রাখা হয়৷ সেখানে তারা ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে৷

মন্তব্য করুন