মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

কার্ডিফে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিগ হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল

আজিজুল আম্বিয়া, লন্ডন থেকে
  ১৭ জুন ২০২৫, ১৩:১৯

যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফে অনুষ্ঠিত হলো বহুল প্রত্যাশিত বার্ষিক ‘বিগ হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’। গত ১৪ ও ১৫ জুন (শনিবার ও রোববার) কার্ডিফের ওয়েলস মিলেনিয়াম সেন্টারে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশে আয়োজিত এ ফেস্টিভ্যাল হয়ে উঠেছিল এক অনন্য স্বাদ, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির মিলনমেলা।

ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী হালাল খাবারের বৈচিত্র্য তুলে ধরার পাশাপাশি এই আয়োজন ছিল ভিন্নধর্মী সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহাবস্থানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আয়োজক ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটির অন্যতম কো-অর্ডিনেটর ও বৃটেনে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি সাজ হারিছ উৎসব সফল করতে সকল সহযোগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই আয়োজন শুধু খাবারের স্বাদ নয়, বরং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করেছে।” 

তৃতীয় বছরের মতো অনুষ্ঠিত এই বৃহৎ হালাল খাদ্য উৎসবে বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শুধু বাংলাদেশি বা মুসলিম কমিউনিটিই নয়, বরং বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও সংস্কৃতির মানুষজন এখানে এসে হালাল খাবারের স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অংশ নেন। 

ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ওয়েলস বাংলা নিউজের সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, “বছরব্যাপী সবাই এই উৎসবটির জন্য অপেক্ষা করে থাকে। এটি শুধু একটি খাদ্য উৎসব নয়, বরং সব কমিউনিটিকে একত্রিত করার একটি মানবিক প্ল্যাটফর্ম। 

সাজ হারিছ ও তার টিমের চমৎকার ব্যবস্থাপনা এই আয়োজনকে সফল করেছে।” এই ফেস্টিভ্যালে অংশ নেয় শতাধিক রেস্তোরাঁ, ফুড ট্রাক ও শেফ, যারা বাংলাদেশি, ভারতীয়, পাকিস্তানি, আরবি, তুর্কি, দক্ষিণ এশীয়, উত্তর আফ্রিকান এবং কানাডিয়ান ফিউশনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হালাল খাবার পরিবেশন করেন।খাবারের পাশাপাশি মেলায় ছিল শিশুদের জন্য গেমস, ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কশপ, হস্তশিল্প ও ইসলামিক ক্যালিগ্রাফির প্রদর্শনী। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় চ্যারিটি ও দানমূলক কর্মকাণ্ড, ফুড ড্রাইভ এবং অনাথ শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমও।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী বছর এই উৎসব আরও বড় পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। কমিউনিটির সবার সহযোগিতা থাকলে এই আয়োজন কেবল বৃটেনে নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরেও আরও পরিচিতি পাবে বলে তারা আশাবাদী। ‘বিগ হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল’ হয়ে উঠেছে শুধু খাদ্যের উৎসব নয়—এটি এখন সংহতি, সংস্কৃতি ও ভালোবাসার এক প্ল্যাটফর্ম।’

মন্তব্য করুন