শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

মিশরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

আফছার হোসাইন, মিশর-থেকে
  ২৪ মার্চ ২০২৫, ১৬:২০
ছবি-সংগৃহীত

মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অঙ্গসংগঠন 'আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত মিশর' শাখার উদ্যোগে এক হৃদয়স্পর্শী ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

২৩শে মার্চ (রবিবার) রাজধানীর কায়রোর দারাসা খেলার মাঠে দেশটিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ আয়োজন প্রবাসের মাটিতে এক অনন্য ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে রূপ নেয়।সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক মাহমুদ রেজা কাদেরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও ইসলামিক সংগীত পরিবেশিত হয়, যা সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ইফতারের পুর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত মিশর শাখার উপদেষ্টা সাইমুম আল মাহাদি। তিনি রমজানের গুরুত্ব ও মিশরে রমজান উদযাপনের বৈচিত্র্যপূর্ণ দিকগুলো অত্যন্ত সুচারুভাবে উপস্থাপন করেন।

সংগঠনটির সভাপতি সাইয়েদ হাসান আজহারী তার বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা জানান এবং ইবাদতের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তিনি সবাইকে রমজানের শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করে জীবন পরিচালনার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশি ছাত্রদের প্রিয় মুখ ওসামা হালদার আজহারী, যিনি একাত্মতা ও সৌহার্দ্যের বার্তা পৌঁছে দেন। এছাড়াও 'বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন মিশর' (ইত্তেহাদ) এর নেতৃবৃন্দও এ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন, যা অনুষ্ঠানের মহিমা আরও বৃদ্ধি করে।

দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত মিশর শাখার উপদেষ্টা মো. লোকমান আজহারী। তিনি মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সৌহার্দ্য ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করেন।আনন্দ, ভ্রাতৃত্ব ও ধর্মীয় আবহে মোড়ানো এই ইফতার মাহফিল প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মাঝে এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি করে। সুসজ্জিত আয়োজন ও বাঙালিয়ানায় ভরা ইফতার আয়োজন যেন এক টুকরো বাংলাদেশ হয়ে ধরা দেয় প্রবাসীদের কাছে।এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা কেবল একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দেননি, বরং তারা পেয়েছেন এক অপূর্ব সৌহার্দ্যের অভিজ্ঞতা, যা রমজানের শিক্ষাকে আরও সুসংহত করেছে। এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে—এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।

মন্তব্য করুন