মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অশান্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ৩০ মে ২০২৫, ১৬:৩৫
ছবি-সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

শিবির নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বাম ছাত্রসংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির সহচর হিসেবে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান ও সুস্থধারার রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। 

সম্প্রতি আদালতের রায়ে ছাত্রশিবিরের প্রথম সভাপতি এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া রায়ের বিরোধিতায় তারা রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’

বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেন, ২৭ মে রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শাহবাগবিরোধী ছাত্র ঐক্য’র মিছিলে বিনা উসকানিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের হামলা অস্থিতিশীলতা তৈরির পরিকল্পনার অংশ।

‘ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাম সংগঠনগুলো বারবার শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করেছে। ১৯৮২ থেকে শুরু করে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত একাধিক হামলা, হত্যা ও সহিংসতায় জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন ছাত্রশিবির কর্মীকে হত্যার পাশাপাশি আহত করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক কর্মীকে। এসব ঘটনার পেছনে ছিলেন বাম নেতা— ফজলে হোসেন বাদশা, মনোয়ারুল হক, সাইফুল ইসলাম, লিয়াকত আলী লিকু, রাগিব আহসান মুন্না প্রমুখ।’

শিবির নেতারা অভিযোগ করেন, গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে বামপন্থিরা মব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করে আইনশৃঙ্খলার পরিবর্তে সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা উসকে দেয়। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনগত পথ না নিয়ে তারা ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

‘এখনো তারা ‘বাঁশের লাঠি মশাল হবে, শিবির তোমার মৃত্যু হবে’ ও ‘আবরার ফাহাদকে হত্যা করা জায়েজ ছিল’— এমন স্লোগান দিয়ে পুনরায় লাশের রাজনীতি কায়েম করতে চায়। তারা কেবল সন্ত্রাসই নয়, ফ্রি মিক্সিং, যৌন স্বাধীনতা ও সমকামিতার মতো বিকৃত সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করছে।’

বিবৃতির শেষাংশে তারা বলেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগের পতনের পরেও এ চিহ্নিত বামচক্র ক্যাম্পাস অশান্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তাদের ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ নয়। আমরা সচেতন ছাত্রসমাজকে আহ্বান জানাচ্ছি— যেকোনো নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন।’

মন্তব্য করুন