শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আইসিসির ইভেন্টে পাকিস্তানিদের সঙ্গে খেলবে না ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক
  ২২ মে ২০২৫, ২৩:৪০
ছবি-সংগৃহীত

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির ইভেন্টে ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানের সঙ্গে একই গ্রুপে খেলতে চায় না।

যে কারণে আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ১৭-২০ জুলাই সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসির অ্যানুয়াল কনফারেন্স।

প্রতিবেশী দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতিই ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ককে শুধুমাত্র আইসিসি ও এসিসি ইভেন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। তবে ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার জেরে আইসিসি ইভেন্টেও ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। 

পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদনের অনুযায়ী, আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বহুজাতিক টুর্নামেন্টেও এই দুটি দলকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

এই প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি সূত্র সংবাদ সংস্থাটিকে জানিয়েছে, ‘এই বিষয়টি নিয়ে বার্ষিক সম্মেলনে আলোচনা হবে। আইসিসি ইভেন্টের নক-আউটেও ভারত ও পাকিস্তানের না খেলার সম্ভাবনা কম। তবে দুই দলকে একই গ্রুপে না রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।'

আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, যিনি এর আগে বিসিসিআই সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথমবারের মতো বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।

রাজনৈতিক কারণে গত কয়েক বছর ধরে বিসিসিআই এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সম্পর্ক আদায় কাঁচ কলায়। ২০২৩ সালে ভারতীয় বোর্ড রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলকে এশিয়া কাপের জন্য পাকিস্তানে যেতে দেয়নি। ফলে পিসিবি হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বাধ্য হয়। ভারতের সব ম্যাচ এবং বেশিরভাগ নকআউট ম্যাচ আয়োজন করে শ্রীলংকা। 

পাকিস্তান বোর্ড চলতি বছরের শুরুতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের ক্ষেত্রেও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। দুবাইয়ে ভারতের সব ম্যাচ আয়োজন করা হয়। দুটি টুর্নামেন্টের ফাইনালই পাকিস্তানের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়, এবং ভারত দুটি টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন হয়।

২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরে। তার আগে ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের নারী বিশ্বকাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই টুর্নামেন্টে দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে খেলবে কিনা, তা এখনও ঠিক হয়নি। 

মন্তব্য করুন