বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যে কারণে এনসিপিতে যোগ দিলেন ছাত্রদল নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০২ জুন ২০২৫, ১৫:০৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের নিহত নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের বড় ভাই সর্দার আমিরুল ইসলাম সাগর জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দিয়েছেন।গতকাল রবিবার গঠিত এনসিপি ঢাকা মহানগর উত্তর সমন্বয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে তাকে।

আমিরুল ইসলাম সাগর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৭ সালের আগস্টে তিনি ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বহিষ্কার হন। তবে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে সংগঠনে ফিরিয়ে নেয় ছাত্রদল।

এনসিপিতে পদ পাওয়ার পর সাগর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৯ সালে ছাত্র রাজনীতি ছাড়ার পর থেকে আর কিছুতে ছিলাম না। জিয়াউর রহমানের আদর্শের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমার বাবাও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা ছিলেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করার প্রচেষ্টা হিসেবেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছি।’

এদিকে কমিটি ঘোষণার পর এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি'র প্রথম মহানগর/জেলা কমিটি ঘোষণা হইল আজ। ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটিতে সবচেয়ে বড় চমক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শহীদ শাহরিয়ার আলম সাম্যের বড় ভাই এবং ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা সরদার আমিরুল ইসলাম ভাই।

তিনি লেখেন, ‘আমিরুল ভাই ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদে মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। প্রথম জেলা কমিটি প্রকাশের মাধ্যমে এনসিপির রাজনীতি দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করল। আকরাম-শিশির আমিরুলদের হাত ধরে এগিয়ে যাবে এনসিপি ঢাকা মহানগর উত্তর। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাম্য গত ১৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ছাত্রদল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি এবং প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে টানা এক সপ্তাহ শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলন করে। সাম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সর্বাত্মক অংশ নেন। সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল আমিরুল ইসলাম সাগরেরও।

মন্তব্য করুন