ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিকৃত যৌনাচারের ঘটনায় আবার নতুন করে মানুষ বিস্মিত হয়েছে। বিস্ময়ের কারণ মূলত দুটি। এক, এতোদিন মানুষ দেখেছে নারীরাই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে, আর হয়রানি করছে পুরুষ। কিন্তু এবার চিত্রটা পাল্টে গেছে। এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে নারীরা একত্রিত হয়ে পুরুষদের হাত-পা বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে। আর দ্বিতীয়টি এই অস্বাভাবিক যৌনাচার।
এই নারীরা কে বা কারা এই প্রশ্ন করার আগে বুঝে নিতে হবে কেন তারা এমন কাজ করছে? হতে পারে এরা একধরনের সাইকোপ্যাথ। এরা সমাজের সেই সাইকোপ্যাথ বা অসুস্থ মানসিকতার মানুষ, যারা তাদের সঙ্গীর উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করে আনন্দ পায়। এরকম নিপীড়নের ঘটনা আমরা হরহামেশা শুনে থাকি, কিন্তু অবাক হই না। কারণ তখন নিপীড়নকারী হয় পুরুষ এবং নিপীড়িত মানুষটি হয় নারী। সবসময় নারীকে ধর্ষণ ও নগ্ন করে, শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে, দড়িতে ঝুলিয়ে, স্তনে কামড় দিয়ে ছবি তুলে পুরুষ যৌন সুখ লাভ করে। আর এবার এমন কাজ করেছে নারীদের একটি গ্রুপ। অবশ্য শতকরা হিসেবে এই সংখ্যা খুবই নগণ্য।
এরা নিজেদের বিডিএসএমের সদস্য বলে দাবি করেছে। অভিযোগ হচ্ছে এই নারীরা চাবুক মেরে পুরুষ বন্দীদের শরীর ক্ষতবিক্ষত করতো। কখনো কখনো বুট জুতা কিংবা হাই হিল দিয়ে পুরুষ বন্দীর বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করে উল্লাস করতো। বন্দীরা চিৎকার চেঁচামেঁচি যত ভয়ংকর হতো, ওই নারীদের বিকৃত যৌনসুখ তত গভীর হতো। শুধু তাই নয়, এসব অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়া হতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিডিএসএম গ্রুপটি কী? বিডিএসএম হচ্ছে যৌন মিলনের সময় বিপরীত লিঙ্গ বা পার্টনারকে শারীরিক বা মানসিক কষ্ট দিয়ে চরম সুখ লাভ করা। পশ্চিমা দেশগুলোতে এটা নতুন কিছু নয়। বিডিএসএম শব্দটি যৌনতাকে বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে আধিপত্য, বশ্যতা এবং নিয়ন্ত্রণ জড়িত। এই সেক্স করার সময় সাধারণত একজন সঙ্গী যৌনতার সময় খুবই শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণ করে, অন্যদিকে অন্যজন আরও বশ্যতা স্বীকার করে।
২০১৬ সালে করা ইন্টারন্যাশনাল একটি গবেষণা অনুসারে, প্রায় ৪৭% মহিলা এবং ৬০% পুরুষ যৌন প্রেক্ষাপটে কাউকে নিয়ন্ত্রণ করার কল্পনা করেছেন। একই গবেষণায় দেখা গেছে যে এলজিবিটিকিউ দম্পতিদের মধ্যে বিডিএসএম যৌনতা কিছুটা বেশি প্রচলিত ছিল। তবে গবেষকরা বলেছেন বিডিএসএম যৌনতা বিভিন্ন বয়স, লিঙ্গ এবং জাতির মধ্যে চর্চা করা হয়।
কাজেই এখানে যারা ভিক্টিম এবং যারা দায়ী তারা হয়তো দু’পক্ষই এই বিডিএসএম দলের, অথবা নয়। নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে এই ফাঁদে পা দিয়েছেন। তবে এই ঘটনা বা চর্চা খুব স্বাভাবিক নয়। খুব ভালো রকমের বোঝাপড়া না থাকলে এখানে যৌন আনন্দের বদলে কেবল ব্যথা পাওয়ার ব্যাপার ঘটে, যা রীতিমতো সঙ্কটের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এই যৌনচর্চায় চুল টানা, হাতকড়া পরানো, স্কার্ফ বা টাই দিয়ে চোখ বেঁধে ফেলা, হালকা মারপিট, শাস্তি দেয়া হতে পারে, যেমনটা বসুন্ধরার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে।
দুই সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে, একজন সাধারণত জোর খাটানোর (ডোম) ভূমিকা পালন করবে, অন্যজন এইসব সাজা গ্রহণ করার (সাব) ভূমিকা পালন করবে। সাধারণত যারা ডোম যারা তারা মারপিট, বেঁধে রাখা, চাবুক মারা বা অন্যান্য নিপীড়ন করবে যৌন পরিস্থিতিতে এবং সাব সেটা মেনে নেবে। এর মানে পুরো প্রক্রিয়াটাই একধরনের মানসিক অসুস্থতার যৌনাচার। যা আমরা জানতে পারছি এবং জেনে শিউরে উঠছি।
বসুন্ধরার এই ঘটনায় নারীকে ডোম এর ভূমিকায় এবং পুরুষকে সাব এর ভূমিকায় দেখতে পারছি। এখানে নিজে শারীরিক ভাবে কষ্ট পাওয়াও যৌনাচারের বৈশিষ্ট্য হতে পারে। এধরনের যৌনতা সবার জন্য নয়। কেন না, এখানে এক পক্ষ থাকে কর্তৃত্বে, সেই ব্যক্তি অন্যকে নিগ্রহ করে যৌন সুখ লাভ করেন। অপরপক্ষ নিগৃহীত হয়ে যৌনসুখের চূড়ান্তে পৌঁছান।
এই অসুস্থ যৌনাচার যারা করেন, তাদের পরামর্শকও আছেন। পরামর্শকরা বলেন, এই যৌনাচারের আগে কতগুলো বিষয় বুঝে নেয়ার বিষয় থাকে। যেমন সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে স্পষ্টভাবে কথা বলে নিতে হবে, জানাতে হবে, নিজে কী চাইছেন, সঙ্গে তিনি কী চাইছেন, সেটাও জানা দরকার! এরপর কী কী করা হবে, কতটা নিগ্রহ করা হবে, শারীরিক যন্ত্রণা কেমন ভাবে কতদূর পর্যন্ত হবে, তা ঠিক করে নিতে হবে। একই ভাবে কোন বিষয়গুলি বাদ দেওয়া হবে দুই পক্ষের সুবিধা এবং আনন্দের কথা মাথায় রেখে, সেটারও বোঝাপড়া সেরে নিতে হবে।
এই যৌনতার জন্য বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট পাওয়া যায়। যেমন, হাত বাঁধার জন্য নরম পশম বা চামড়ায় মোড়া হ্যান্ডকাফ, আঘাতের জন্য চাবুক এবং এ রকম আরও অনেক কিছু। এগুলো একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত শারীরিক আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা হিসেব করে বানানো হয়। অসুস্থ যৌনাচারে আছে আফটার কেয়ারের ব্যবস্থা। যেমন যিনি অত্যাচার সহ্য করেছেন, তার কিছু প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তার দিকে এই সময়ে দৃষ্টি দিতে হয়। কারণ সে শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত থাকেন। তাই তাকে সেবা, এবং দরকারে ওষুধ দিতে হয়।
ধারণা করা হচ্ছে এই বিকৃত যৌনাচারের সাথে মাদক এবং পর্নোগ্রাফির সরাসরি যোগসূত্র আছে। হয় এই পুরুষরা নিজেরাও এই গ্রুপের সদস্য এবং তারা পুরো প্রক্রিয়া ও ফলাফল বুঝতে না পেরে নিজেরাই এতে অংশগ্রহণ করেছে। অথবা তাদের প্রেম ও যৌনতার ফাঁদে ফেলে এই নিপীড়ন করা হচ্ছে। নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে অনেক পুরুষ নিজের পয়সা খরচ করে এমন বিকৃত যৌনতা উপভোগের জন্য প্যাকেজ কেনে। তাহলে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে কিছু পুরুষ যৌন সম্ভোগের জন্য এই গর্তে পা দেয় এবং ডুবে যায়।
সমাজে বিকৃত যৌনক্রিয়া আমাদের অগোচরে বেশ অনেকদিন ধরেই চলছে। কিশোর-তরুণ কাপলদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। যৌনতার সঙ্গে যখন শুধু ‘সম্ভোগ’র প্রশ্ন জড়িত হয়, তখন এমনটা হতে পারে। এরা স্বাভাবিক যৌনতা এত বেশিমাত্রায় উপভোগ করেছে যে এই শান্তিপূর্ণ যৌনতার পথে পা বাড়িয়েছে।
কয়েক বছর ধরেই লক্ষ্য করছি দেশে অপরাধগুলোর মধ্যে যৌনতাকেন্দ্রিক অপরাধের সংখ্যা যেমন দিন দিন বাড়ছে, সেই অপরাধের সাথে সংযুক্ত শিশু-কিশোর ও তরুণদের সংখ্যাও তেমন বাড়ছে। যৌনতাকেন্দ্রিক অপরাধ ও অপরাধীর বয়স খুব উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন খবরে যেসব অপরাধ কাহিনী উঠে আসছে, এর প্রায় প্রতিটির সাথে কিশোর-কিশোরী, তারুণ্য, যৌনতা, পর্নোগ্রাফি, ইন্টারনেটভিত্তিক যৌন বিষয়ক অপরাধী গ্রুপ ও মাদক জড়িত।
সমাজের সব স্তরের এই বয়সী ছেলেমেয়েদের একটা অংশ বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত হচ্ছে। এরমধ্যে আছে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, অশ্লীল মন্তব্য, বিভিন্ন কায়দায় সেক্স করা, বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা, পর্নো নায়িকার মতো করে মেয়ে বান্ধবীর কাছ থেকে সাড়া পাওয়ার চেষ্টা। এসবই ঘটছে কিশোর-কিশোরীদের অস্বাভাবিক যৌন আচরণ বা টিন অ্যাবনর্মাল সেক্সুয়াল বিহেভিয়ারের কারণে। এর সাথে যোগ হয়েছে মাদক, ইন্টারনেটের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফির অবাধ বাজার।
আমাদের অনেকের ধারণা যৌনতা একটি পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির বিষয় এবং কিশোর-কিশোরীদের এর চর্চা করা উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক তেমনটা নয়। একটা সময় কিশোর কিশোরীদের যৌবনের শুরু হতো গড়ে ১৬ বছর বয়সে। এখন সেটা নেমে এসেছে ১০ বছরে। এর মানে মানুষের যৌন চিন্তা ও শারীরিক প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগেভাগেই। যৌনক্রিয়ায় কোনটা স্বাভাবিক ও কোনটা অস্বাভাবিক এই বোধটা ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে না কিশোর-কিশোরীর মধ্যে। কারণ সুস্থ যৌনক্রিয়া কি, সেই শিক্ষা পাওয়ার আগেই পর্নোগ্রাফি ও বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে তারা পেয়ে যাচ্ছে বেপরোয়া ও অস্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার শিক্ষা।
স্কুল ও কলেজে সহপাঠীদের কাছ থেকেও তারা এইসব লিংকের খবর পায় এবং নিজেরা সেই তথ্য আদান-প্রদান করে। এক্ষেত্রে “পিয়ার প্রেশার” খুব বড় প্রভাব রাখে। পর্নোগ্রাফির জগৎটা অনেক বড়। এর ডালপালাও মাকড়সার জালের মতো চারিদিকে বিস্তৃত। কাজেই এই মাকড়সার জালে কখন, কে, কীভাবে ধরা পড়ে যাবে, তা অভিভাবকদের জন্য বোঝাটা রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। প্রযুক্তি বিষয়ে জানেন এমন অভিভাবক ছাড়া, সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষে এই বিষয়টি বোঝা খুব কঠিন।
শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা ও যুবারা যখন এইসব পেজ দেখতে শুরু করে, তখন সেখানকার চরিত্রগুলোকেই আদর্শ মনে করে এবং নিজেদের তাদের সাথে মেলানোর চেষ্টা করে। এভাবে তারা না জেনে, না বুঝে জড়িয়ে পড়ে ক্ষতিকর ও অস্বাভাবিক যৌন আচরণে। বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে বয়ঃসন্ধিকাল কিশোর-কিশোরীদের যৌন জ্ঞান ও প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর জোর দেয়ার প্রসঙ্গটি গুরুত্ব পাচ্ছে। এসময়টাতেই কিশোর-কিশোরীদের মনে রোমান্টিকতা ও যৌন আগ্রহ সৃষ্টি হয়। যেহেতু যৌনজীবন ও প্রজনন স্বাস্থ্য আমাদের সমাজে এখনো ট্যাবু, তাই কিশোর-কিশোরীরা যেকোনোভাবে ভুল তথ্য নিয়ে, ভুল পথে যেতে পারে।
এদের সঠিক পথে চালানোর জন্য শুধু মব অ্যাটাক, মারধোর ও নীতি পুলিশিং না করে, বয়ঃসন্ধিকালের প্রজনন স্বাস্থ্য ও যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। স্কুলগুলো হতে পারে এই জ্ঞান দেয়ার ক্ষেত্রে মূল স্থান। তাহলে সবধরনের ছেলে মেয়েদের কাছে যৌনতা বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক, বাস্তবসম্মত এবং সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে তথ্য পৌঁছানো সহজ হবে।
অনেকেই হয়তো এর বিরোধিতা করতে পারেন কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না আপনি-আমি যতো বেশি এই সমস্যাকে অগ্রাহ্য করবো, ততো বেশি সমাজে অ্যাবনরমাল সেক্স, মাদক, পর্নোগ্রাফির আগ্রাসন বাড়বে। আমাদের সন্তানরা বিপথে চালিত হবে। এই দুনিয়ায় কাউকে আমরা প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে পারবো না, চাইও না।
সন্তানকে বন্দী না করে সচেতন করুন। পরিবারে, সমাজে ও স্কুল পর্যায়ে প্রজনন স্বাস্থ্য ও যৌন শিক্ষা নিয়ে কথা হয় না, অথচ দেখা যাচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়সেই অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার আশংকা তৈরি হচ্ছে। অধিকাংশ বাবা-মা ও অভিভাবক ধারণাই করতে পারেন না তাদের স্কুল ও কলেজে পড়ুয়া সন্তানরা কীভাবে বিকৃত যৌনতা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে?
কিশোর কিশোরীদের অস্বাভাবিক যৌন আচরণ বা টিন অ্যাবনর্মাল সেক্সুয়াল বিহেভিয়রের নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন তারা দেখেছেন বর্তমানের কিশোর কিশোরীদের বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর যৌন আচরণে যুক্ত হবার হার বেড়ে গেছে। এগুলো রিলিফের জন্য তারা বিপদজনক অনেককিছুই করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা কীভাবে বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করবে, সে বিষয়ে তাদের সঠিক প্রজনন ও যৌন শিক্ষা দিতে হবে।
সারাদেশে ইন্টারনেট ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠছে, যারা ফাঁদে ফেলে শিশু ও নারীদের নিয়ে ব্যবসা করছে। সিআইডি ২০২৩ এর মে মাসে টেলিগ্রাম গ্রুপের সদস্যদের কাছে এইসব ভিডিও বিক্রির অভিযোগে এই নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ‘পমপম’ নামের একটি গ্রুপ খুলে সদস্যরা নানাভাবে কিশোরী ও তরুণীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে। এরপর কৌশলে তাঁদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে, তা বিদেশে বিক্রি করে।
আমাদের সমাজে বয়ঃসন্ধিকালের শিশু-কিশোরদের সাথে এইসব নিয়ে কথা বলাটা এখনো স্টিগমার মধ্যে রয়ে গেছে। ফলে যা জানা তাদের জন্য জরুরি, তারা তা জানতে পারছেনা পরিবার ও সমাজ থেকে, কিন্তু তারা জানতে চায়। এসব তথ্য জানার জন্য ইন্টারনেট ও পর্নোগ্রাফির দরজা তাদের জন্য খোলাই রয়েছে। আর প্রযুক্তির অশুভ বলয়ে একবার পা রাখলে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। সেজন্যই প্রয়োজন সচেতন হওয়া অভিভাবক ও সন্তানের, এড়িয়ে যাওয়া নয়।
লেখক : যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।
মন্তব্য করুন