শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চিরতরে বাতিলের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২১ মে ২০২৫, ১৩:০৫

কালো টাকা সাদা করার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব সুযোগ অধ্যাদেশের মাধ্যমে চিরতরে বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২১ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা দুর্নীতিকে পুরস্কৃত ও সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে। সংস্থাটি দাবি করে, এসব সুবিধা অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক এবং দুর্নীতিসহায়ক।

টিআইবি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও আরও কিছু বিদ্যমান দুর্নীতিসহায়ক, অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক বিধান অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিলের সিদ্ধান্তকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি। অর্থ উপদেষ্টার এই সুযোগ বন্ধের প্রতিশ্রুতি আমাদের আশান্বিত করেছে। তবে আয়কর আইন, ২০২৩-এ এখনো তিনটি বিধান রয়ে গেছে, যা কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়।

তিনি জানান, এই বিধানগুলো হলো— বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ প্রদর্শন, স্থাপনা বা ভূমিতে আগে করা অপ্রদর্শিত বিনিয়োগ নির্দিষ্ট কর দিয়ে রিটার্নে দেখানোর সুযোগ এবং স্বপ্রণোদিতভাবে আয়ের তথ্য প্রদর্শন করে তার ওপর নিয়মিত হারে কর প্রদানের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানার মাধ্যমে বৈধতার সুযোগ।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই তিনটি ক্ষেত্রেই যেহেতু বৈধ উৎসের সামঞ্জস্য নিশ্চিতের বাধ্যবাধকতা নেই, সে কারণে অপ্রদর্শিত আয়ের নামে কালো টাকার বৈধতার সুযোগ নেওয়া হয়, যা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

তিনি আরও জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের তৃতীয় সুপারিশেও উৎসবিহীন আয় বৈধ করার যেকোনো রাষ্ট্রীয় চর্চা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বারবার দেওয়া হলেও, এর ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ কখনোই সেভাবে বাড়েনি। যতটুকু হয়েছে, তার জন্য নৈতিকতার বিসর্জন অগ্রহণযোগ্য। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটে দৃষ্টান্ত স্থাপনের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে উল্লিখিত ধারাগুলোসহ কালো টাকা সাদা করার সকল প্রকার সুযোগ চিরতরে বাতিল করা হবে।’

টিআইবি এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দিয়েছে জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আশা করি, আমরা এর ইতিবাচক প্রতিফলন দেখতে পাব।’

মন্তব্য করুন