ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে এবার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টায় দুদকের তলবে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় হাজির হন তিনি। এরপর দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুন্নী সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় দুদক।
সে সময় দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, মুন্নী সাহা ও তার স্বামী এমএস প্রমোশনের (বিজ্ঞাপনী সংস্থা) স্বত্বাধিকারী কবির হোসেন তাপসের বিরুদ্ধে নিজ ব্যাংক হিসাবে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন, বর্তমান স্থিতি ১৪ কোটি টাকা ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
গত বছরের অক্টোবরে মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নাঈম হাওলাদার (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে সাত সাংবাদিককে আসামি করা হয়, তাদের একজন মুন্নী সাহা।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারের সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে কিছু ব্যক্তি ঘিরে ধরেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ।
পরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তবে প্যানিক অ্যাটাকে অসুস্থ থাকায় জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন