শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

বিমান বিধ্বস্তের পর দ. কোরিয়ায় ফ্লাইটের টিকিট বাতিলের হিড়িক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে সম্প্রতি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ১৭৯ জন। ১৮১ জন আরোহী নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ওই বিমানের কেবল ২ জন বেঁচে গেছেন। এরপরই আকাশপথে ভ্রমণ নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির মানুষের মধ্যে। হিড়িক পড়েছে ফ্লাইটের টিকিট বাতিলের। ইতোমধ্যেই প্রায় ৬৮ হাজার মানুষ তাদের টিকিট বাতিল করেছেন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। বার্তাসংস্থাটি বলছে, মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হওয়ার পর হাজার হাজার দক্ষিণ কোরিয়ান তাদের ফ্লাইটের টিকিট বাতিল করেছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম সোমবার জানিয়েছে।

সর্বশেষ প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শিকার ফ্লাইটটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার বেসরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা জেজু এয়ারের একটি বিমান। দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপের তথ্য অনুসারে, জেজু এয়ার জানিয়েছে— প্রায় ৬৮ হাজার ফ্লাইট রিজার্ভেশন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৩৩ হাজারেরও বেশি টিকিট বাতিল করা হয়েছে। আর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রুটের টিকিট বাতিল হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি।

দক্ষিণ কোরিয়ান এই এয়ারলাইন্সটি বলেছে, ১৮১ জন আরোহী নিযে গত রোববার মুয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম কাউন্টির মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরই বেশিরভাগ যাত্রী তাদের টিকিট বাতিল করেছেন। কর্তৃপক্ষ বর্তমানে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তারা পাখির সঙ্গে বিমানের সম্ভাব্য সংঘর্ষের দিকেও মনোনিবেশ করছে। তবে সোমবার কিছু বিশেষজ্ঞ এবং পর্যবেক্ষক বিমানবন্দরে রানওয়ের পাশে কংক্রিটের ঢিবির অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এটি না থাকলে দুর্ঘটনায় এতো বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা রোধ করা যেত কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন তারা।

মন্তব্য করুন