বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

সবচেয়ে গতিসম্পন্ন যন্ত্রের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৩
ছবি-সংগৃহীত

ভূমধ্যসাগরে এ পর্যন্ত সবচেয়ে গতিসম্পন্ন ভুতুড়ে কণাটির খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এক প্রতিবেদনে তারা বলেন, এর আগে যে অল্প কয়েক শ কণা আবিস্কার করা হয়েছে, সেগুলোর চেয়েও প্রায় ৩০ গুণ বেশি সক্রিয় এটি।

সাগরের গভীরে একটি নির্মাণাধীন নিউট্রিনো ডিটেক্টর দিয়ে এটি শনাক্ত করা হয়েছে। নিউট্রিনো বলতে ক্ষুদ্র পারমাণবিক কণাকে বোঝায়, যা আলোর কণার চেয়েও দ্রুতগতির। ধারণা করা হয়, এই ক্ষুদ্র কণা অশূন্য ভরের কণা।

পর্দাথের মধ্য দিয়ে এই কণা প্রায় অবিকৃতভাবে চলাচল করতে পারে। যে কারণে এটিকে ভুতুড়ে কণা বলা হয়। নিউট্রিনো অর্থ হচ্ছে ‘ক্ষুদ্র নিরপেক্ষ কণা’। গ্রীক বর্ণ নিউ (ν) দিয়ে এটিকে প্রকাশ করা হয়।

মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, ছায়াপথের বাইরে থেকে এই কণা এসেছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এই ভুতুড়ে কণার সঠিক উৎস রহস্যেই থেকে যাচ্ছে।

সূর্যের মতো তারকা থেকে এসব নিউট্রিনো আসে। কোটি কোটি কণা প্রতিটি মুহূর্তে মানব-শরীরের ভেতর দিয়ে চলাচল করছে। এগুলো এতোই মিহি যে শনাক্ত করা ব্যাপক কঠিন। সাধারণত দ্রুত গতিতে ছোটাছুটি করা নিউট্রিনো শনাক্ত করতে পারেন না বিজ্ঞানীরা।

এই ক্ষুদে কণার সঙ্গে যখন আরেকটি বস্তুকণার সংঘর্ষ হয়, তখন কী ঘটে, তা গবেষণা করে দেখেন বিজ্ঞানীরা। বছর দুয়েক আগে এমন ঘটনায় মিউয়ন নামের একটি মৌলিক কণিকা তৈরি হয়েছিল। যেটি বায়ুমণ্ডলে ক্রিয়াশীল মহাজাগতিক রশ্মির মাধ্যমে পৃথিবী পৃষ্ঠ ভেদ করে বহু গভীরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

নেদারল্যান্ডসের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সাব-এটোমিক ফিজিক্স নিকহেফের বিজ্ঞানী আরার্ট হেইজবোয়ের বলেন, ‘মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ-জ্বালানি প্রক্রিয়াগুলো বোঝার চেষ্টা করছি আমরা।’

সাধারণত ভূ-উপরিভাগের বিকিরণ থেকে সুরক্ষায় মাটির গভীরে, বরফের নিচে ও পানির নিচে রাখা হয় নিউট্রিনো ডিটেক্টর।

মন্তব্য করুন