বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পাকিস্তানের বিভিন্ন মসজিদে হামলার টার্গেট ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ০৭ মে ২০২৫, ০৯:৩০

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পরপর একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শহর। 

ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।

বিস্ফোরণের অন্যতম সম্ভাব্য লক্ষ্য ছিল শহরের বিলাল মসজিদ। মসজিদের পাশেই বসবাস করেন মোহাম্মদ ওয়াহিদ। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি তখন ঘুমাচ্ছিলাম। 

হঠাৎ প্রথম বিস্ফোরণের শব্দে আমার ঘর কেঁপে ওঠে। ভয়ে আমি দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। দেখি আশপাশের সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে। তখনও বুঝে উঠতে পারিনি কী হচ্ছে। এরই মধ্যে আরও কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে, পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’

তিনি জানান, বিস্ফোরণে অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হন, যাদের ২৫ কিলোমিটার দূরের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘বাচ্চারা কাঁদছে, নারীরা দৌড়াচ্ছে, সবাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মানুষ ঘরবাড়ি ফেলে পালাতে শুরু করে। চারদিকে ছিল অজানা এক অনিশ্চয়তা’, বলেন ওয়াহিদ।

তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তবে একটি মসজিদ কীভাবে হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে, তা তিনি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না।

‘এটা তো সাধারণ একটি মসজিদ ছিল, যেখানে আমরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়তাম। আমরা এই মসজিদ ঘিরে কখনো সন্দেহজনক কিছু দেখি নাই’, যোগ করেন মোহাম্মদ ওয়াহিদ।

মন্তব্য করুন