জুলাই বিপ্লবে সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছাত্র-জনতার পক্ষে নেমেছিলেন রাজপথে। এজন্য নানা হুমকির শিকারও হতে হয়েছিল তাকে। তবে সেসবকে পরোয়া না করেই সরকার পতনে রাজপথে অনড় ছিলেন এ অভিনেত্রী।
গেল বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে নতুন এক বাংলাদেশের সূচনা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে শুরু করেন সারাদেশে সংস্কার কার্যক্রম। অভ্যুত্থানের ১০ মাস পার হয়ে গেলেও দেশের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি বলেই মনে করছেন বাঁধন। বরং অভ্যত্থানের পর ব্যক্তিগতভাবে পেশাগত জীবনে তিনি বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলেই গণমাধ্যমে জানান।
বাঁধন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের আগে তিনটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল, যার মধ্যে একটি সিনেমার সাইনিং হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ২৫ জুলাই এবং আরেকটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ৩০ আগস্ট থেকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দুজন প্রযোজক এখন নানা সমস্যায় থাকায় তারা আর কাজটি করতে আগ্রহী নন। এসব প্রযোজক আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং সেই রাজনৈতিক যোগসূত্রের কারণেই তারা এখন পিছিয়ে এসেছেন।’
বাঁধনের মতে, দীর্ঘদিন শিল্পাঙ্গনে এককভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা একটি গোষ্ঠী এখন প্রান্তচ্যুত, এবং নতুন গোষ্ঠী কাজ দখল করেছে। দখল করলেও কাজ চলছে তাদের মতো করে। শুধু নিয়ন্ত্রণের হাতবদল হয়েছে। সরকার বদলে শুধু সিন্ডিকেটই বদল হয়েছে উল্লেখ করে বাঁধন বলেন, ‘অনেকে বলছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ কমে গেছে, বিষয়টা এ রকম না। কিছু সিন্ডিকেট চেঞ্জ হয়েছে। যেটা হয় যে একদল আগে কাজ করত, এখন আবার আরেক দল দখল করেছে। কিন্তু দখলের পরে আবার তারা কাজ করছে।’
এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের পর শিল্পীদের প্রতি বিদ্বেষ, হেনস্তা ও মিথ্যা মামলার প্রবণতা বেড়েছে বলেই মনে করছেন বাঁধন। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার একজন কো-আর্টিস্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটা মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়েছে তাকে। আমার সঙ্গে হয়েছে, আমার আশপাশের মানুষের সঙ্গেও হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ঈদে মুক্তি পেয়েছে আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত থ্রিলারধর্মী সিনেমা ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’। নারীপ্রধান এই গল্পে এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। সানী সানোয়ারের পরিচালনায় সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন পূজা ক্রুজ, ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন