বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

সৌদি মাতাবেন জেমস

বিনোদন ডেস্ক
  ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:০১

সাত বছর ধরে সৌদি সরকার নিয়মিত আয়োজন করছে ‘রিয়াদ সিজন’ শিরোনামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। তবে প্রতি সিজনে আয়োজনটি নাম থাকে আলাদা। প্রতি বছরই এ আয়োজনের বিনোদন, সংস্কৃতি, খেলাসহ নানা সেগমেন্টে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনোদনপ্রেমীরা জড়ো হন সৌদিতে। 

বাংলাদেশও অংশ নেয় এই আয়োজনে। গত বছর আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় রিয়াদে। এবার অনুষ্টিত হচ্ছে দেশটির দাম্মাম শহরে। এবারের আয়োজনের নাম ‘পাসপোর্ট টু দ্য ওয়ার্ল্ড’। বাংলাদেশের পাশাপাশি এতে আরও অংশ নিয়েছে সুদান, ভারত, ফিলিপাইনসের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা।  

জানা গেছে, দাম্মামের আল খোবার আল ইসকান পার্কে ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ আয়োজন। প্রতিটি দেশ চারদিন করে নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরছে এতে। ৩০ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত অংশ নেবে বাংলাদেশ। কারুশৈলী প্রদর্শনী, দেশীয় খাবার, শিশুদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন, কর্মশালাসহ থাকছে বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে কনসার্ট। 

এতে প্রধান আকর্ষণ হিসাবে থাকছেন বাংলাদেশের রকস্টার মাহফুজ আনাম জেমস। এর আগেও সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে গান গাইতে গিয়েছিলেন তিনি। এবারে এটি তার দ্বিতীয় যাত্রা।  গত বছর ‘বাংলাদেশ কালচার’ শিরোনামের এক কনসার্টে অংশ নিয়েছেন সংগীতের এ তারকা। 

ওইসময় তার আগমনে রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্ক হয়ে উঠে কানায় কানায় পূর্ণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এরআগে এতো প্রবাসী বাঙালিদের এমন মিলনমেলা সৌদির কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি! ‘রিয়াদ সিজন’ নামের এ আয়োজনে অংশ নিয়ে জেমস নিজেও হয়েছিলেন মুগ্ধ। 

মঞ্চে পারফর্মের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জেমস বলেন, ‘রেমিটেন্সযোদ্ধারা অনেক কষ্ট করেন। কর্মমুখর জীবনে তাদেরকে যে একটু সময়ের জন্য আনন্দিত করতে পারলাম, সেই সাথে সংগীতের মাধ্যমে তাদের সাথে যে মেলবন্ধন, তারা এনজয় করলো। আশা করি তারা দেশের জন্য সামনে আরো কাজ করবেন। তাদের গান শোনাতে পেরে আমি নিজেও মুগ্ধ। আমি আবারও আসতে চাই এখানে গান শোনাতে।’ 

সেই ধারাবাহিকতায় এবার আবারও নিজের দল ‘নগরবাউল’ নিয়ে দেশটিতে গান শোনাতে যাচ্ছেন এ সংগীত তারকা। উৎসবে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ চারদিনের তৃতীয় দিন প্রধান আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের পরিবেশনা। এ আয়োজনে জেমস ছাড়াও অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের একাধিক তারকা শিল্পী। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্ধ চার দিন মঞ্চ মাতাবেন তারা। 

‘পাসপোর্ট টু দ্য ওয়ার্ল্ড’ বাংলাদেশ পর্বের কনসার্টে প্রথম দিন (৩০ এপ্রিল) গাইবেন সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা, আকাশ মাহমুদ, শিল্পী আক্তার রিয়া ও ডিজে সাফা। দ্বিতীয় দিন (১ মে) গান শোনাবেন সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল, মুহাম্মদ মিলন, আয়শা জেবিন দিপা ও ডিজে সাফা। উৎসবের তৃতীয় দিন (২ মে) জেমসের সঙ্গে আরও গাইবেন বিউটি খান, আকাশ মাহমুদ, শিল্পী আক্তার রিয়া ও ডিজে সাফা। শেষদিন (৩ মে) গান শোনাবেন সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম, আরমান আলিফ, বিউটি খান ও ডিজে সাফা। 

ইতোমধ্যে কনসার্টের খবর জানিয়ে শ্রোতাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন শিল্পীরা। কনসার্টে অংশ নেয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন জেমস। 

তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার গান শোনাতে যাচ্ছি। ২ মে দাম্মামে গান শোনাব আমি। এছাড়াও ৯ মে জেদ্দায় আরও একটি কনসার্ট রয়েছে, সেখানেও গাইবো। এরপর ২০২৫ ট্যুর নিয়ে লম্বা সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি।’ 

ইমরান মাহমুদুল বলেন, ‘সৌদি আরবে আগেও প্রবাসীদের গান শোনাতে গিয়েছি। এবার আবারও যাচ্ছি। মরুর এই দেশে আমাদের প্রবাসী ভাই ও বোনেরা অনেক পরিশ্রম করেন। দেশে রেমিটেন্স পাঠান। তাদের জন্যই আবারও যাওয়া।  ১ মে দাম্মামের আল ইসকান পার্কে আমি হাজির থাকবো। সবার সঙ্গে দেখা হবে, গান হবে এবং অনেক ফান হবে। আমি পারফর্ম করব বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। সবার পছন্দের গানের সঙ্গে সুন্দর কিছু সময় কাটবে।’ 

আগামী ১ মে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন সংগতিশিল্পী মিলা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে এ ইভেন্টে আমি গান করব। যেখানে দর্শক একসঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন বাংলাদেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, বিনোদন, ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার এবং সংগীতসহ আরও অনেক কিছু। খোবার এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের সব বাংলাদেশিকে এ আয়োজনে আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’  

আয়োজনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে দিলশাদ নাহার কণা বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী থাকেন সৌদিতে। তারা আমাদের দেশের রেমিটেন্সের চাকা সচল রাখেন। এ ধরণের মানুষদের কিছুটা বিনোদিত করতে পারলে নিজের কাছেই বেশ ভালো লাগে। সেই লক্ষ্যেই তাদের কাছে যাওয়া।’

মন্তব্য করুন