শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে টয়লেটের অভাবে যাত্রীদের দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৪ জুন ২০২৫, ১৩:০২

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল। নৌপথে ভ্রমণ নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হওয়ায় যাত্রীদের অনেকেই সদরঘাট হয়ে বাড়ি ফেরেন। 

তবে বেশ কয়েক বছর ধরে আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ কাজের জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লঞ্চ টার্মিনালে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা। বিশ্রামাগার, যাত্রী ছাউনি ও টয়লেটের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।

বিশেষ করে ঈদে অস্থায়ী গ্যাংওয়ে দিয়ে চলাচল করায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। যদিও এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নতুন গ্যাংওয়ে ও পন্টুন স্থাপনসহ সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

দেশের অন্যতম নৌবন্দর চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল। স্বস্তি বা আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য লঞ্চে যাতায়াত দক্ষিণাঞ্চলবাসীর অন্যতম পছন্দ। প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে যাতায়াত করে। 

বর্তমানে চাঁদপুর-ঢাকা ও চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন নৌপথে চলাচলকারী ৩০টির বেশি লঞ্চ ঈদে যাত্রীদের চাপ সামলাতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে চাঁদপুর আধুনিক নৌ-বন্দর নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে চলায় এবারো নানা সমস্যা ও ভোগান্তি শুরু হয়েছে।

লঞ্চঘাটের যাত্রী দুলাল সরকার বলেন, লঞ্চঘাটের প্রবেশ সড়কের বেহাল অবস্থা। প্রবেশপথে সড়কটিতে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ঝুঁকি আর ভোগান্তি নিয়ে এখন যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া যাত্রী ছাউনি, বসার স্থান নেই। বৃষ্টি হলে ভিজতে হয়। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের বেশি সমস্যা হয়। ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চঘাটে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা চাই আমরা।

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, আমাদের প্রতিটি লঞ্চ আধুনিক। যাত্রী টানতে আমরা প্রস্তুত, তবে বিআইডব্লিউটিএর প্রস্তুতি এখনো শেষ হয়নি। যাত্রীদের জন্য কিছু চেয়ার এবং ছাউনি করা প্রয়োজন। লঞ্চঘাটের কাজ ধীরগতি হওয়ায় অস্থায়ী পন্টুনে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা চাই অতিদ্রুত আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে যাত্রীসেবা উন্নতি হোক।

চাঁদপুর নৌ বন্দরের উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বলেন, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ থেকে নজরদারি শুরু হয়েছে। গ্যাংওয়ে ও পন্টুন স্থাপনসহ সড়ক সংস্কারের কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা রাখি, যাত্রীরা কোনো প্রকার দুর্ভোগ ছাড়াই ঈদযাত্রা করতে পারবেন। বলা চলে পুরোপুরি প্রস্তুত চাঁদপুর লঞ্চঘাট।

চাঁদপুর অঞ্চল নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম। এরইমধ্যে লঞ্চ মালিকদের ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচলে এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে, চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নৌপুলিশের সার্বক্ষণিক টহল রয়েছে।

মন্তব্য করুন