বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

হিংসুক ব্যক্তি কারো সুখ সহ্য করতে পারে না

ধর্ম ডেস্ক
  ০২ মার্চ ২০২৫, ১৬:৫৫
ছবি-সংগৃহীত

হিংসা অত্যন্ত মন্দ এক স্বভাব। হিংসুক অন্যের নেয়ামত বা সুযোগ-সুবিধা ও সম্পদের ধ্বংস কামনা করে। 

হিংসুক ব্যক্তি অন্যের সুখ ও সমৃদ্ধি সহ্য করতে পারে না। হিংসা কখনও এমন মাত্রায়ও পৌঁছে যে সুখ-সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্য ধ্বংস হয়ে যাক তবুও তা যেন অন্যরা তার সামান্য অংশও ভোগ না করেন।

হিংসা এমন এক আগুন যা মানুষের পুরো জীবনকে করে আচ্ছন্ন এবং মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নেয় প্রশান্তি ও সুখ।  এ সম্পর্কে এখানে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের (আ) কয়েকটি বাণী তুলে ধরছি: 

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন, হিংসুক ব্যক্তি জীবনে সবচেয়ে কম আনন্দ ও সুখ পায়।  (বিহার, খণ্ড ৭৭, পৃ. ১১২)
আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী-আ. বলেছেন, হিংসা শয়তানের সবচেয়ে বড় ফাঁদ (ফেহরেস্ত গরর, পৃ.৬৭) 

ইমাম জাফর আস সাদিক-আ. বলেছেন, হিংসুক ব্যক্তি অন্যের ক্ষতি করার আগে নিজেরই ক্ষতি করে। (মুসতাদরাক, খণ্ড-১২, পৃ-১৮)

আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী-আ. বলেছেন, হিংসুক ব্যক্তি সব সময়ই অসুস্থ যদিও তার শরীর (বাহ্যিক দৃষ্টিতে) সুস্থ ও সবল। (ফেহরেস্ত গরর, পৃ.৬৭) 

ইমাম জাফর আস সাদিক-আ. বলেছেন, হিংসুক লোকের রয়েছে তিনটি বৈশিষ্ট্য বা স্বভাব: পেছনে মানুষের নিন্দা করে, সামনে মানুষের তোষামুদে প্রত্যাশা করে আর বিপদ ও দুর্যোগের সময় মানুষকে তিরস্কার করে। (খাসাল, খণ্ড-১, পৃ-৬০) 

আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী-আ. বলেছেন, যে হিংসা ত্যাগ করে সে অন্যদের স্নেহ ও ভালবাসা অর্জন করে। (তোহফাতুল উকুল, পৃ-৯৩)

ইমাম হাদি-আ. বলেছেন, সাবধান! কঠোরভাবে হিংসা দমন করবে বা হিংসার ভাব এড়িয়ে যাবে, আর জেনে রাখ হিংসার প্রভাব কেবল নিজের মধ্যেই প্রকাশ হয়, তোমার শত্রুদের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। (বিহার, খণ্ড-৭৮, পৃ-৩৭০) #

মন্তব্য করুন