রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ফিট থাকতে ঘরেই শরীরচর্চা করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  ০৬ মে ২০২৫, ১৬:২৯

ব্যস্ত জীবনে ফিট থাকতে কেউ বাড়িতে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। কেউ আবার জিমে গিয়ে ঘাম ঝরান। কিন্তু পেট এবং মুখের মেদ সহজে কমে না। অনেকেই ভুঁড়ি নিয়ে চিন্তিত। 

নিয়মিত শরীরচর্চা করেও যদি শরীরের এই দু’টি অংশের বাড়তি মেদ যদি না কমে, তা হলে কিন্তু একটু ভেবে দেখা প্রয়োজন। সহজ কয়েকটি পদ্ধতি খেয়াল রাখলে সহজেই সাফল্য আসতে পারে।

১) প্রতিদিন কতটা খাবার খাচ্ছেন, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট হিসেব রাখা উচিত। হতেই পারে অজান্তে আপনি দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালোরির থেকে বেশি গ্রহণ করছেন।

২) জিমে গিয়ে শুধু কার্ডিয়ো করলে একটা নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত এগনো সম্ভব। কিন্তু পেট এবং মুখের মেদ কমানোর জন্য সপ্তাহে অনন্ত তিন দিন স্ট্রেংথ ট্রেনিং করা উচিত।

৩) ব্যস্ততার কারণে অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন না। তাঁদের ক্ষেত্রে হাঁটা উপকারী। এখন অনেকেই স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করেন। পেটের মেদ কমানোর জন্য যাতে ১০ থেকে ১৫ হাজার স্টেপ কাউন্ট আসে, সে দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

৪) মদ, সোডা জাতীয় পানীয় এবং রাস্তার ধারের ভাজাভুজির মধ্যে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। ওজন কমাতে হলে এই ধরনের পানীয় বা খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। রেস্তরাঁর খাবারের উপরেও রাশ টানা উচিত।

৫) অতিরিক্ত শর্করা দেহে প্রবেশ করলে তা ইনসুলিনের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। তখন দেহে মেদ জমতে শুরু করে। তাই পেটের ওজন কমাতে হলে অবিলম্বে চিনি এবং অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় খাবার বর্জন করা উচিত।

৭) স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত দু’দিন আলাদা করে পেটের ব্যায়ামের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত। শুরুতে পার্থক্য চোখে না পড়লেও সামগ্রিক ফলাফল পেতে সাহায্য করে পেটের ব্যায়াম।

৮) মুখের মেদ কমানোর জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত। পাশাপাশি, প্রতিদিনের খাবারে নুনের পরিমাণ যেন বেশি না থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

৯) ওজন কমানোর জন্য খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার পাশাপাশি ভাল ঘুমের প্রয়োজন। চেষ্টা করতে হবে, যাতে প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ভাল ঘুম হয়। ঘুম ভাল হলে দেহে হরমোনের তারতম্য ঘটে না। অতিরিক্ত খিদে পায় না।

মন্তব্য করুন