সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

ক্যালিফোর্নিয়ায় অভিবাসী ধরপাকড়ে নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  ১২ জুলাই ২০২৫, ২০:২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুমান ও পক্ষপাতের ভিত্তিতে অভিবাসীদের আটক করার প্রবণতা অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন একজন ফেডারেল বিচারক। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) যেভাবে ইমিগ্রেশন অভিযান চালিয়েছে, তা ‘গণতান্ত্রিক আইনের পরিপন্থি’ বলে অভিহিত করেছেন বিচারক ম্যামে এউসি-মেনসা ফ্রিমপং।

শুক্রবার (১১ জুলাই) লস অ্যাঞ্জেলেস-ভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট এক রায়ে বলেন, জাতি, ভাষা, উচ্চারণ, অবস্থান বা পেশা—এগুলোর ভিত্তিতে কাউকে আটক করা যাবে না। ডিএইচএস ও সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে অবশ্যই ‘যথোপযুক্ত যুক্তিসংগত সন্দেহ’ দেখাতে হবে। আটক ব্যক্তিদের আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, বিশেষ করে বি-১৮ নামে পরিচিত হেফাজতকেন্দ্রে।

বিচারক ফ্রিমপং বলেন, উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন যথাযথ কারণ ছাড়াই রোভিং প্যাট্রোল পরিচালনা করেছে এবং বন্দিদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের অধিকার লঙ্ঘন করেছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার দাবি করেছে, তারা গোয়েন্দা তথ্য ও ‘ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস’ ভিত্তিতে অভিযান চালায়। কিন্তু আদালত এ নিয়ে সন্তোষজনক প্রমাণ পায়নি।

রায়টি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অব ক্যালিফোর্নিয়ার সাতটি কাউন্টির আওতায় কার্যকর, যার মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো অন্তর্ভুক্ত।

এই রায় মূলত ডিএইচএস. এফবিআই ও মার্কিন বিচার বিভাগকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে। এসিএলইউ (আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন) দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া শাখা পাঁচজন অভিবাসী ও অধিকার সংগঠনের পক্ষে এই মামলা দায়ের করেছিল।

রায়ে বি-১৮ আটককেন্দ্রে আইনজীবীদের প্রবেশ বা বন্দিদের সঙ্গে যোগাযোগে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে বন্দিদের বিছানা, গোসলের ব্যবস্থা ও চিকিৎসাসেবা পর্যন্ত দেওয়া হয় না।

ডিএইচএসের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এই রায়কে ‘মার্কিন জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

তবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়া সংবিধান ও আইনের পাশে দাঁড়ায়।

এসিএলইউর আইনজীবী মোহাম্মদ তাজসার বলেন, “মানুষের গায়ের রং, ভাষা বা পেশা যাই হোক না কেন, তাদের সংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা উচিত।

মন্তব্য করুন