রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর উপলক্ষে প্রবাসীর খোলা চিঠি

জাফর ফিরোজ
  ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৩:১২

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ১১ থেকে ১৩ আগস্ট মালয়েশিয়া সফর করবেন। এ উপলক্ষে এক প্রবাসী বাংলাদেশি তার উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন। 

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের পক্ষ থেকে খোলা চিঠিটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আপনার আগমনের খবর শুনে আমাদের বুকের ভেতর একটু আলো জ্বলছে। অনেকদিন পর মনে হলো-হয়তো এবার কেউ আমাদের কথাও শুনবেন। আপনার সফর হয়তো নীতিগত বৈঠক আর রাষ্ট্রীয় কূটনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ, কিন্তু আমাদের কাছে এই আগমন অনেক বেশি কিছু-এটা যেন সেই ভাঙা ঘড়ির মতো, যেটা বছরের পর বছর ধরে ছুঁয়ে দেওয়ার অপেক্ষায়। 

আমরা কারা?
আমরা কেউ নির্মাণ সাইটে, কেউ পাম বাগানে, কেউ রেস্টুরেন্টে, ১৪ ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়ে কাজ করে একটিমাত্র ফোনকলের আশায় থাকি-যেখানে বাড়ি থেকে কেউ বলে, ‘ভালো আছিস তো, বাবা?’ আমরা সেই শিক্ষার্থীরা, যারা দেশের নাম উঁচু করতে এসেছি। আমরা সেই প্রফেশন, যাদের এই দেশ নিজেই আমন্ত্রণ জানায়-জ্ঞান, অভিজ্ঞতা আর দক্ষ পরিচালনার জন্য। আমরা সেই প্রবাসী, যারা ২০২৪ সালে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে রেমিট্যান্স বন্ধ করে প্রতিবাদ করেছি। আবার আমরাই, স্বৈরাচার বিদায়ের পর দেশের ভাঙা অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে ঘাম ঝরিয়ে পাঠিয়েছি রেমিট্যান্স। আমরা শুধু অর্থ পাঠাইনি, পাঠিয়েছি ভালোবাসা সেই সঙ্গে দায়িত্ব।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আমরা টাকা পাঠাই-ভালোবাসা মিশিয়ে। কিন্তু সেই টাকায় কেটে যায় ব্যাংকের ফি, ভেঙে যায় এক্সচেঞ্জ রেটের দেয়াল, আর আমরা বুঝি-আমাদের ঘামের দামটা যেন ঝাপসা হয়ে পড়ে। আমরা হুন্ডি পছন্দ করি না, তবে কেউ কেউ বাধ্য হয়। কারণ সেখানেই অন্তত ঘামের কিছুটা দাম মেলে। আমরা চাই না আমাদের শুধু ‘ডলার পাঠানো যন্ত্র’ হিসেবে দেখা হোক। আমরা চাই-রাষ্ট্র আমাদের দেখুক সম্মান দিয়ে, জানুক আমাদের ত্যাগকে। আমরা প্রস্তাব করি-যারা বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠাবে, তাদের জন্য চালু হোক ‘VIP Card’। এই কার্ড শুধু একটি পরিচয় নয়, একটি প্রতিশ্রুতি হবে। এই কার্ডে প্রবাসীরা পাবে স্বাস্থ্যসেবা, অবসরের নিশ্চয়তা, ব্যাংকিং সেবা, সামাজিক মর্যাদা। বিশ্বাস করুন এই রকম আশ্বাস পেলে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যাবে। 
আমাদের এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো ‘আমরা ভোটাধিকার চাই’। আজ আমরা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের বৈষম্যের শিকার প্রবাসী হয়ে থাকতে চাই না। আমরা অংশ নিতে চাই রাষ্ট্র গঠনে। 

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আমার অনেক ভাই এখন এই দেশে ‘অবৈধ’ হয়ে আছে। তারা সন্ত্রাসী নয়; তারা শুধু ডকুমেন্টহীন । তারা ভুল করে সেই দরজায় কড়া নেড়েছিল, যেটা খুলে দিয়েছিল কিছু দালাল-সিন্ডিকেট। আজ হাসপাতাল তাদের ভর্তি নেয় না, পুলিশ তাদের সারাক্ষণ তাড়া করে। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন, যে মানুষটা এই পামবাগানের মাঝে রোদে পুড়ে কাজ করতো, অথচ তার বুকের ভেতর সবসময় বাংলাদেশের পতাকা গাঁথা থাকতো, সে আজ নিজেই নিজের পরিচয় লুকিয়ে বাঁচার চেষ্টায় আছে। ভয়ে, অসম্মানে, নিঃস্বভাবে। মাননীয় উপদেষ্টা, এই সফরে আপনি যদি শুধু একটি কথা বলেন-‘অবৈধ যাঁরা আছে, তারা পরিচয় ফিরে পাবে’, তবে আবার এই শহরের বাতাসে ফিরবে ভরসা। সবাই চিৎকার করে বলবে ‘রাষ্ট্র আমাদের পাশেই আছে।’

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগের বর্তমান প্রক্রিয়াটি অনেকাংশেই ‘‘Modern Slavery’’ বা আধুনিক দাসত্বের এক নিদারুণ উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাবুন, আপনার বাসায় একজন গৃহকর্মী দরকার। স্বাভাবিকভাবে, আপনি নিজেই তার যাতায়াত, ডকুমেন্ট, থাকার খরচ বহন করবেন। কিন্তু মালয়েশিয়ার শিল্পকারখানাগুলোর বাস্তবতা ঠিক উলটো। শ্রমিক প্রয়োজন মালয়েশিয়ান কোম্পানির, অথচ সেই শ্রমিককে আনতে গিয়ে আমাদের, অর্থাৎ গরিব কর্মীদের, নিজের সর্বস্ব বিক্রি করতে হয়। এইটাই কি মানবাধিকার? এইটাই কি সভ্যতা?

আপনার কী শক্তি আছে এই চক্র ভাঙার? 
আপনি কি বলতে পারবেন- 
শ্রমিক আনতে মালয়েশিয়ান কোম্পানি পুরো খরচ বহন করবে, 
কোনো দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীর জায়গা থাকবে না, 
সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে সরকার-সরকার (G2G) ভিত্তিতে। 

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
মালয়েশিয়ার এই ছায়ার নিচে, আমাদের ছেলেমেয়েরা হাঁটছে, বড় হচ্ছে। তারা শিখছে ইংরেজি, জানে মালয় ভাষা। তারা জানে না, কোনো এক কালে কিছু তরুণ বুক চিতিয়ে রক্ত দিয়েছিল। এই বাংলা ভাষাটাকে বাঁচাতে। কিন্তু দোষ তাদের না- দোষ আমাদের ব্যর্থতায়, যেখানে আমরা তাদের শিকড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারিনি। আমরা চাই, এই দূর দেশে গড়ে উঠুক একটি ‘বাংলাদেশ কালচারাল ও ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল’। একটি স্কুল, যেখানে শিশুরা শিখবে বাংলা ভাষা। যেখানে তারা লিখবে, গাইবে, বলবে—‘আমি বাংলাদেশের সন্তান। আমি প্রবাসে জন্মেছি, কিন্তু আমার শিকড় বাংলাদেশে।’

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
তিন দিনের ছুটি নিয়ে, বহু দূর পারলিস থেকে একজন মানুষ ভোর হওয়ার আগেই দাঁড়িয়ে থাকে দূতাবাসের গেটে। তার হাতে একটা ছোট ব্যাগ-মাঝে পুরোনো পাসপোর্ট, কিছু কাগজ, ফি জমার রশিদ, আর বুকভরা আশা। চোখে ঘুম নেই, মুখে ক্লান্তি, কিন্তু মনে শুধু একটাই লক্ষ্য-‘আজ না হয় নিজের পাসপোর্টটা ঠিক করে ফিরি।’ দিন যায়। সপ্তাহ যায়। মাসও গড়িয়ে যায়। তারপর একদিন জানতে পারে পাসপোর্ট এখনো আসেনি। এরমধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আর তাই সে ‘অবৈধ’। এটা শুধু একটা দুঃখজনক খবর না, এটা একজন মানুষের আত্মপরিচয়ের মৃত্যু। আপনাকে সম্মানের সাথে প্রশ্ন রাখি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা-প্রবাসী বাংলাদেশিরা কি সাত দিনের মধ্যে একটি পাসপোর্ট পেতে পারে না? দূতাবাস থেকে কি পাসপোর্ট প্রিন্ট করা যায় না? যখন আশপাশের অনেক দূতাবাস তাদের নাগরিকদের পাসপোর্ট এখান থেকেই প্রিন্ট করে দিচ্ছে- তখন আমরা কেন পিছিয়ে?

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আজ মালয়েশিয়ায় আমাদের পরিচয়ের সংকট। আমরা পরিচিত একটিমাত্র নামে-‘‘Bangla”- যেটি এখানে উচ্চারিত হয় অবজ্ঞা আর তাচ্ছিল্যের সুরে, যেন আমরা শুধু শ্রমিক। এই দেশে অসংখ্য সফল বাংলাদেশি বিজ্ঞানী, প্রফেসর, পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, গবেষক, প্রযুক্তিবিদ আছেন কিন্তু তাদের সাফল্য খবরের কাগজে ছাপা হয় না। তাদের অর্জন চাপা পড়ে ভিসা জালিয়াতি বা তুচ্ছ খবরের নিচে। এই সফরে হয়তো শ্রমিক পাঠানোর প্রস্তাব আসবে, কিন্তু আমরা চাই আপনি বলুন- ‘বাংলাদেশ থেকে আসবে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ডেভেলপার।’ আমরা চাই আপনি বলবেন- ‘আমার দেশ এখন শুধু ঘাম নয়, রপ্তানি করে জ্ঞান, দক্ষতা ও সম্ভাবনা।’ আপনি এই ভুল পরিচয়ের দেয়াল ভেঙে নতুন এক সম্পর্ক গড়ে তুলবেন-সমতার, মর্যাদার ও ভবিষ্যতের। যেখানে “Bangla” হবে না আর অবজ্ঞার প্রতীক, বরং একদিন “Bangladeshi” হবে গর্বের নাম। আমরা জানি, আপনি পারবেন। কারণ আপনি এসেছেন শুধু চুক্তি করতে নয়, আপনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়া নিয়ে আমাদের কিছু প্রত্যাশা আছে। প্রশ্ন আসতেই পারে, এসব কাজ তো হাই কমিশনের দায়িত্ব-তাদের কাছে কেন বলছি না? কারণ হাইকমিশন, শ্রদ্ধার সঙ্গে বলছি, অধিকাংশ সময় প্রোটোকল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আমরা যারা সাধারণ প্রবাসী, সেই প্রোটোকলের বাইরেই পড়ে থাকি। এই যে যেমন, কাগজে ছোট্ট একটি সিল নেওয়ার জন্য সকালবেলা আবেদন জমা দিয়ে বিকেলে কালেক্ট করতে হয়-যার জন্য আমাদের পুরো একটি কর্মদিবস হারাতে হয়। ধরুন বছরে মিলিয়ন প্রবাসী যদি একটি দিনের কাজ ছাড়েন শুধু একটি সিলের জন্য, তাহলে প্রায় ৬৫.৩৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত বা ১৯৬ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) ক্ষতি হয়-শুধু একটি প্রশাসনিক ধীরগতির কারণে। আমরা জানি হাইকমিশনের জনবল প্রবাসীর সংখ্যার তুলনায় অনেক কম। তাই তারা মাঝে মাঝে নিজেদের ফেসবুক পেজের মন্তব্য সেকশনও বন্ধ রাখে- কারণ উত্তর দেওয়ার জনবল সংকটে ভুগছে দূতাবাস। এই বাস্তবতায়, আমরা আপনাকেই বলতে বাধ্য হই—দূতাবাসে যেন আধুনিক, স্বচ্ছ ও দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা হয়, যেন প্রবাসীরা সম্মানের সঙ্গে, সময়মতো তাদের রাষ্ট্রের সেবা পেতে পারে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আপনি একজন নোবেলজয়ী রাষ্ট্রনায়ক। আপনার প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি উদ্যোগ বিশ্ব শ্রদ্ধাভরে গ্রহণ করে। আপনি জানেন-ইতিহাস শুধু নীতিমালায় নয়, গঠিত হয় সহানুভূতি, দয়া আর সাহসিক দূরদৃষ্টিতে। তাই, আপনার এই সফর শুধু কূটনৈতিক চুক্তির গণ্ডিতে আবদ্ধ না থাকুক- এটা হোক পরিবর্তনের এক বীজবপন। আজ যদি প্রবাসীদের জীবনে আশার আলো জ্বালাতে পারেন, তবে ইতিহাস বলবে- ‘একজন রাষ্ট্রনায়ক এসেছিলেন, যিনি চোখের জলকে পরিণত করেছিলেন আত্মবিশ্বাসে।’ এই চিঠি কোনো অভিযোগ নয়-এটি দেশপ্রেম ও ভালোবাসার এক নীরব প্রতিজ্ঞা। আমরা চাই-

১. পুনঃনিবন্ধন ও বৈধতা কর্মসূচি:
মালয়েশিয়ায় থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য মানবিক ভিত্তিতে নিবন্ধন ও বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার একটি বিশেষ প্রোগ্রাম চালু করা হোক।

২. দালাল-সিন্ডিকেট নির্মূল:
শ্রমবাজারে দালালদের আধিপত্য রোধ করে, একটি স্বচ্ছ ও সরকারি নিয়ন্ত্রিত কর্মী পাঠানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।

৩. VIP Card চালু:
যারা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাবে, তাদের জন্য সম্মানসূচক ‘VIP Card’ চালু করে দেশে সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুবিধা ও অবসরের নিশ্চয়তা প্রদান করা হোক।

৪. বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি স্কুল:
প্রবাসী শিশুদের জন্য ‘বাংলাদেশ কালচারাল ও ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করে ভাষা, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের ভিত্তি গড়ে তোলা হোক।

৫. পাসপোর্ট রিনিউ সময়সীমা:
সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট রিনিউ নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক দ্রুততা ও স্বচ্ছতা আনা হোক।

৬. দূতাবাসে পাসপোর্ট প্রিন্টিং:
স্থানীয়ভাবে পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের সুবিধা চালু করে, দীর্ঘ বিলম্ব ও ভোগান্তি দূর করা হোক।

৭. পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক পারমিট:
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের মতোই স্নাতকোত্তর পরবর্তীকালে ১ বছরের কাজের অনুমতি চালু করা হোক।

৮. প্রবাসীদের ভোটাধিকার:
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য ডিজিটাল বা দূতাবাসভিত্তিক ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হোক।

৯. দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি:
শুধু শ্রমিক নয়-ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি এক্সপার্টসহ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির প্রস্তাব মালয়েশিয়ার কাছে উপস্থাপন করা হোক।

পরিশেষে বলতে চাই-আপনার কণ্ঠে উচ্চারিত একটি শব্দ, আপনার উদ্যোগে গৃহীত একটি সিদ্ধান্ত-বদলে দিতে পারে লাখো মানুষের গল্প। আমরা অপেক্ষায় আছি- ঠিক যেমন বৃষ্টি, খরার পর কৃষকের চোখে আশার রেখা আঁকে। এই সফর হোক শুধুই রাষ্ট্রের নয়-এটি হোক প্রবাসীদের জন্য নতুন ভোরের সূচনা।

সশ্রদ্ধ ভালোবাসায়,
জাফর ফিরোজ 
মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পক্ষ থেকে।
মালয়েশিয়া, ৩ আগস্ট ২০২৫।

মন্তব্য করুন