মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

আর্থিক সংকটে ফরিদা পারভীন

বিনোদন ডেস্ক
  ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৮

দেশের প্রখ্যাত লালন ও লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন বর্তমানে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং পরিবারের পূর্ণ সহযোগিতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই চিকিৎসা নিয়ে কোনো আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হননি বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানি।

সোমবার (৭ জুলাই) এক ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক, গীতিকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তানভীর তারেক জানান, সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর তার মায়ের চিকিৎসা খরচ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা বিভ্রান্তিকর খবরকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইমাম জাফর বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যে কজন ভাইবোন আছি, আমরা ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত (ওয়েল এস্টাবলিশড)। আমরা আমাদের মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম। আর আমরা যদি চিকিৎসা ব্যয়বহন নাও করি, তাহলে আমার মায়ের যে টাকা-পয়সা আছে, তা দিয়েও চিকিৎসার ব্যয়বার বহন করতে সক্ষম।’

পরিবারের সবাই—তিনি নিজে, ভাইবোন, তাদের জীবনসঙ্গীরা ও অন্যরাও—ব্যক্তিগতভাবে ফরিদা পারভীনের সেবা করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ইমাম জাফর বলেন, ‘আসলে আম্মার শরীর খারাপ অনেক দিন ধরেই। সেই ২০১৯ সাল থেকেই তার কিডনির সমস্যা। অনেক দিন ধরেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এখন ডায়ালাইসিস নেওয়া শুরুর পর থেকেই তার শরীরটা খারাপ হয়ে পড়ে। 

তার অসুস্থতার খবর শুনে উপদেষ্টা থেকে শুরু করে আমাদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছে যে, তার চিকিৎসায় কোনো আর্থিক সহায়তা লাগবে কিনা। এটা জানার পর আমার আম্মা ফরিদা পারভীন জানিয়েছেন, তিনি এ ধরনের কোনো সহযোগিতা নিতে চান না।’

তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কেউ যেন এ নিয়ে গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়ান। বরং ফরিদা পারভীনের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আপাতত সবাই আম্মার জন্য দোয়া করবেন। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে নিজ অঙ্গনে ফিরুক।’

বাংলা লোকসংগীতে বিশেষ করে লালনগীতিতে অনবদ্য অবদান রেখেছেন ফরিদা পারভীন। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুলসংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে তার সংগীতজীবন শুরু হয়।

পরবর্তীতে দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে পরিচিতি পাওয়ার পর তিনি তার আধ্যাত্মিক গুরু মকসেদ আলী শাহের কাছে লালনগীতির তালিম নেন।

সংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন একুশে পদক লাভ করেন।

মন্তব্য করুন