আমি হিরো হিরোইনের তকমায় কখনো খুব একটা বিশ্বাস করি না। বরং অভিনেতা-অভিনেত্রী বিষয়টা অনেক বেটার।
আর পুরুষকেন্দ্রিক সিনেমা যদি হতে পারে, তবে নারীকেন্দ্রিক কেন নয়? এই প্রশ্ন জাগত মনে। শুধুমাত্র একজন হিরোর সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে থেকে যাওয়া আমার কখনওই পছন্দ নয়। কথাগুলো বলেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দাম।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, অভিনেত্রী মানেই শুধু পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, একটা শিফন শাড়ি পরে নাচছেন এটা কিন্তু নয়। আসলে চরিত্রটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি সে ক্ষেত্রে নিজেকে খুব লাকি মনে করি যে আমার পরিচালকরা আমায় নিয়ে এত ভাবছেন এবং লিখছেন।
মূলত নিজের অভিনীত ‘জুলি’ নামের ওয়েব সিরিজের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক থ্রিলার গল্পে নির্মিত এ সিরিজ পরিচালনা করেছেন অরিত্র সেন। শহর কলকাতার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে এর গল্প। সিরিজে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন পাওলি দাম।
সিরিজে নিজের চরিত্রের বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘জুলি’র জার্নিটা খুব অন্যরকম। যৌনকর্মী থেকে রাজনীতির পথে হাঁটা। অনেকটা একজন প্রান্তিক মানুষকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার মতো। একটা সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার জার্নি। পরিচালক অরিত্রর সঙ্গে এর আগেও আমি কাজ করেছি। ‘জুলি’র চরিত্রটি ও যখন লিখেছিল, একঝলক পড়েই মনে হয়েছিল বাকি সব কাজের থেকে আলাদা। ভীষণ এনজয় করেছি।
নারীকেন্দ্রিক বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন পাওলি দাম। আপনি ‘নারীবাদী’ এ কথা শুনতে হয়নি? এ প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, নারীকেন্দ্রিক সিনেমাতে অভিনয় করি মানেই তো আমি নারীবাদী নই। আমি নারী এবং পুরুষের সমান ভূমিকায় বিশ্বাসী। তার মানে আবার কখনওই এরকম নয় যে নারীর শুধু গুরুত্ব রয়েছে। আমি মনে করি যে দুটো জেন্ডার-এর প্রতি যদি সমান সম্মান দেওয়া হয়, তবেই আমাদের সোসাইটি অনেক বেশি উন্নতি করতে পারবে।
বলে রাখা যায়, ঢাকায় মুক্তির অপেক্ষায় পাওলি অভিনীত একটি সিনেমা । ‘নীল জোছনা’ শিরোনামের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ফাখরুল আরেফীন খান। মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজিবিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে এটি। এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে পাওলিকে।
মন্তব্য করুন
