সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের মাত্র ৬ দিন আগে বাংলাদেশ নিজেদের দারুণভাবে পরখ করে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল ভুটান ম্যাচে। ২-০ গোলের সহজ জয়ে সবার মুখেই তৃপ্তির হাসি।
তবে ঘরের মাঠে ভুটানের বিপক্ষে যতটা আগ্রাসী বাংলাদেশকে দেখতে চেয়েছিল দর্শক, ততটা হয়নি। শুরুতে গোল পাওয়ায় বাংলাদেশের দিকে ম্যাচটি ঝুলে পড়েছিল। প্রাধান্য নিয়ে খেলেই সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন হামজা-জামালরা।
ভুটানের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলামের। আজ (মঙ্গলবার) সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অভিষেক হবে কানাডা প্রবাসী শামিত সোমের। নিঃসন্দেহে দলের দ্বিতীয় বড় তারকা তিনি। অন্য দেশের জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশের জার্সিতে তিনিই প্রথম ফুটবলার হিসেবে খেলতে নামবেন।
শামিত যোগ হওয়ার পর মাঠে ক্যাবরেরার কৌশল বদলে যাবে। ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল ফ্রেন্ডলি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের। এ ম্যাচটি থেকে ৩ পয়েন্ট পাওয়ার জন্যই খেলবে বাংলাদেশ। লক্ষ্য যখন জয়, তখন বাংলাদেশকে তেমন কৌশল নিয়েই খেলতে হবে।
আগের দুই ম্যাচে ভারত ও ভুটানের বিপক্ষে প্রথাগত স্ট্রাইকার একাদশে রাখেননি ক্যাবরেরা। তবে অনেক ফুটবলবোদ্ধার ধারণা, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয়ের জন্যই খেললে বাংলাদেশের আক্রমণভাগকে আরো ধারালো করেই নামতে হবে। যে কারণে একজন প্রথাগত স্টাইকার খেলাতে পারেন কোচ। নাম্বার নাইন পজিশনে ক্যাবরেরার হাতে অস্ত্র আছে দুটি-সুমন রেজা ও আল-আমিন।
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ একাধিক গোল আদায় করে নিতে পারতো। শিশুসুলভ ভুল করেছেন ক্যাবরেরার শিষ্যরা। একজন প্রথাগত স্ট্রাইকার থাকলে এমন নাও হতে পারতো। বাংলাদেশ শুরুতে যে চাপ সৃষ্টি করেছিল, সেই চাপকে কাজে লাগাতে না পারায় দ্বিতীয়ার্ধে নিজেরাই চাপে পড়েছিল। ভাগ্যিস হামজা ছিলেন! তার কারণেই ভারত থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরেছিল বাংলাদেশ।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশকে দুই দিকে নজর দিয়েই খেলতে হবে। সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড লাইন অনেক শক্তিশালী। সেটপিস থেকে গোল করতে দক্ষ দলটি। আগের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানের জয়ে দুটি গোলই তারা করেছে সেটপিস থেকে। তাই বাংলাদেশকে গোলের পেছনে ছোটার সাথে সাথে ক্লিনশিটের বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে।
শামিত যোগ হওয়ায় দলে একটা পরিবর্তন তো অবধারিত। হতে পারে দুই বা তিনটি পরিবর্তনও। এই পরিবর্তন নির্ভর করছে কোচ কোন কৌশলে যাবেন, তার ওপর।
২৬ জনের দল থেকে তিনজন বাদ দিয়ে ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবেন কোচ। তার মধ্য থেকে ১১ জনের একাদশ করবেন। ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন আনলে সম্ভাবনা বেশি মধ্যমাঠ থেকে আক্রমণভাগ পজিশনে। গোলরক্ষক মিতুল মারমা, ডিফেন্ডার তপু বর্মন, তারিক কাজি, সাদ উদ্দিনদের রেখেই হয়তো একাদশ সাজাবেন ক্যাবরেরা।
মধ্যে মাঠের জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা, কাজেম শাহদের মধ্যেই কাউকে জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে। কৌশলের কারণে ফাহামিদুলকে নিয়ে শুরু না করতে পারেন কোচ। দুই থেকে তিনটি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি প্রথাগত কোনো স্ট্রাইকার খেলানোর কথা ভাবেন কোচ, তাহলে একাদশে জায়গা হারাতে পারেন কাজেম শাহ ও ফাহামিদুল।
মন্তব্য করুন