নারীর জন্য বাজেট নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের জানতে হবে, আদতে জেন্ডার বাজেটিং এ নারী কতটা উপকৃত হয়? যে প্রক্রিয়ায় বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়, তাতে নারীর কর্মজীবনে কতটা প্রভাব পড়ে? নারীবান্ধব বাজেটের ফলে নারীর যতোটা অগ্রগতি ঘটেছে বা ঘটছে, এই সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য কোনো পর্যালোচনা বা সমীক্ষা কি আদৌ আছে?
শিশুর অধিকার, নারীর জন্য কর্মসংস্থান, নারীর নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নারীর ক্ষমতায়নে বছরের পর বছর যে টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে, এর ফলাফলটা জানা জরুরি। সরকার জেন্ডারবান্ধব বাজেট করলেও যথাযথ মনিটরিং না থাকায়, বাজেটে বরাদ্দের কতটুকু নারীর জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে, কতটা অগ্রগতি বয়ে আনলো, সে বিষয়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে, এই বাজেট নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক হচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
গত কয়েক বছর ধরেই নারীবান্ধব বাজেটের দাবি জোরালো হয়ে উঠছে বিভিন্ন নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। তারা মনে করছেন নারীর জন্য জাতীয় বাজেটে একটা বড় অংশ রাখা উচিত। কারণ পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সবক্ষেত্রেই নারীর অবস্থান অধস্তন। দেশের একজন নারী নেত্রী বলেছিলেন, এদেশের নারীদের দৌড় শুরু করতে হয় একদম শুরুর পয়েন্ট থেকে। যেখানে পুরুষদের করতে হয় মাঝামাঝি পয়েন্ট থেকে। কারণ নারীকে অসংখ্য পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা মোকাবিলা করে পথে নামতে হয়, পুরুষকে তা করতে হয় না। সেজন্যই নারীকে পুরুষের পাশাপাশি বা সমকক্ষ করে দাঁড় করাতে হলে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি। বিশেষ করে বাজেটে নারীর জন্য বরাদ্দ বাড়ানো দরকার।
বাজেটে নারীদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয় না বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ’জেন্ডার প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট প্রণয়ন এবং এফএফডি-ফোর ফলাফলের অগ্রগতির বিষয়’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, দেশের বাজেটে নারীদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয় না। যেটুকু দেওয়া হয়, তার কাঠামোর মধ্যেও আবার সমস্যা থাকে। ভবন বানানোতে টাকা চলে যায়। যেটুকু বাকি থাকে, সেটুকুও ঠিকমতো বছর শেষে খরচ হয় না।
বাজেটে নারীদের জন্য আর্থিক সংস্থান খুবই কম উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, যেটুকু খরচ হয়, তার মূল্যায়ন হয় না, সেটা প্রকৃতভাবে নারীদের পক্ষে গেছে কি না। সেটা মূল্যায়ন করার জন্য আবার তথ্য-উপাত্ত নেই। তাই বিষয়টি চক্রাকারে নারী বৈরী একটা অর্থায়ন প্রক্রিয়ার ভেতরে ঢুকে যায়।
বাজেটসহ সবকিছুতেই নারীর এই পিছিয়ে পড়াটা সারা বিশ্বের জন্যই সত্য। বাংলাদেশের নারীদের জন্য আরো বেশি প্রযোজ্য। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আজ পর্যন্ত নারীকে একটা অসম অবস্থান থেকে প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে। আর তাই একটি আধুনিক সরকারের এমনকিছু বাধ্যতামূলক নিয়ম প্রবর্তন করা উচিত, যা নারীর অগ্রযাত্রাকে সহজ ও ত্বরান্বিত করবে। নারীবান্ধব বাজেট এবং জেন্ডার সহনশীল বাজেট ঠিক এমনই একটি পদক্ষেপ। দেশে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। নারীদের একটা বড় অংশ চাকরি, ব্যবসা ও নানাধরণের অনানুষ্ঠানিক পেশার সাথে জড়িত।
একজন পুরুষের চাইতে নারীকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আয় করতে হয়। সরকার যদি চায় নারী বেরিয়ে এসে দেশের অর্থনীতিকে জোরালো করুক, তাহলেতো নারীর জন্য বাজেটসহ বিভিন্ন অবকাঠোমোগত সুবিধা দেয়াটা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শুধু সুবিধা বা বাজেট বাড়ানোই নয়, সেই বাজেট কীভাবে, কতটা ও কোন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে সেটাও দেখতে হবে।
করোনার সময় থেকেই বহু নারী কাজ হারিয়েছেন। অনেক নারী উদ্যোক্তা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই নারী প্রধান পরিবারগুলো অর্থনৈতিক অনটনে পড়েছে। এরপর আবার জুলাই ২০২৪ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে প্রায় ২১ লাখ লোক কাজ হারিয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ১৮ লাখই নারী। এ বিপুলসংখ্যক নারী চাকরি হারানোর ঘটনা মোট চাকরি হারানোর প্রায় ৮৫ শতাংশ।
তবে হ্যাঁ, নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দের দাবির প্রতি দৃষ্টি দিয়ে সরকার গত কয়েক বছর থেকেই বেশ কিছু বিষয় বাজেটে সংযুক্ত করেছেন, যা নারীর জন্য ইতিবাচক। যেমন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কর রেয়াত। ব্যাংকগুলোর উপর শর্ত আরোপ করেছে যে নারী উদ্যোক্তাদের একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় ঋণ সুবিধা দিতে হবে। অন্যদিকে সরকার ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। তবে এটাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে ছোট বড় সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য।
২০২১ সালে পাঁচটি বেসরকারি সংস্থার ফোরাম ”ফরমাল রিকগনিশন অফ দ্যা উম্যান’স আনকাউন্টেড ওয়ার্ক” এর উদ্যোগে একটি গবেষণায় বলা হয়েছে বাংলাদেশে কাজে নিযুক্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১.৩ জন অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন এবং এদের শতকরা ৯৬.৭ জন নারী। এছাড়া দেশে নারী প্রধান পরিবারগুলো অধিকাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতের।
এছাড়াও পুরুষ প্রধান পরিবারগুলোতেও যখন অভাবের কারণে একটার পর একটা সম্পদ হাতছাড়া হতে থাকে, তখন এর ভেতর জেন্ডার ব্যয় ইস্যুটা লুকিয়ে থাকে। কারণ অভাব অনটনের সময় নারীর সম্পত্তিই প্রথমে হাতছাড়া হয়। অর্থনৈতিক সংকট হলে প্রথমে পাড়া প্রতিবেশীর থেকে ধার করে মানুষ। এরপর ছোটখাটো জিনিস যেমন স্বর্ণালংকার ও ছোট পশু প্রাণী বন্ধক রাখা হয়। আর এগুলোর মালিক সাধারণত নারীই হয়ে থাকেন। এরপর আসে বাড়ি, জমি বা গরু বিক্রি। অভাবের সময় যৌক্তিক কারণেই নারীর মালিকানাধীন ছোটখাটো জিনিস আগে বিক্রি করা হয়। সেক্ষেত্রে সবদিক থেকেই নারীই সর্বস্বান্ত হয় প্রথমে।
নারীকে বৈষম্য-নির্যাতন থেকে সুরক্ষা দেওয়া ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত আইন, নীতি ও পরিকল্পনা বান্তবায়নে জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করার কথা বলা হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে জেন্ডার বাজেটের কার্যকর বণ্টন, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে হবে। তা হলে বোঝা যাবে নারীর বাজেট নারীর কাজে কতটা ব্যবহৃত হচ্ছে। কারণ আমরা দেখছি সরকার জেন্ডারবান্ধব বাজেট করলেও পর্যবেক্ষণের অভাবে বাজেটে বরাদ্দের কতটুকু, নারীর জীবনের কোন ক্ষেত্রে, অগ্রগতি বয়ে আনলো, সে বিষয়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় না।
নারী সংগঠনগুলোর সুপারিশে আরও বলা হয়, জেন্ডার বাজেট বিষয়ক গবেষণার উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে বিআইডিএসসহ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জেন্ডার বাজেট বিশ্লেষণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা যেতে পারে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য কী ধরনের আর্থিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ করতে হবে। অনেকেই ভাবেন ‘জেন্ডার বাজেট’ হয়তো নারীর জন্য আলাদা কিছু বরাদ্দ। বাস্তবে এটি এক ধরনের মূল্যায়ন পদ্ধতি, যেখানে দেখা হয়, একটি সরকারি ব্যয় পরিকল্পনা নারী, পুরুষ ও অন্যান্য লিঙ্গীয় পরিচয়ের মানুষের ওপর কেমন প্রভাব ফেলছে।
বাজেটে নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা এবং শিশু কল্যাণ এক সাথে বিবেচনা করা হয়। তাই নির্দিষ্টভাবে নারী-কেন্দ্রিক বাজেট কতটা, এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সরাসরি উল্লেখ করা কঠিন। এই বাজেটের একটা অংশ বিভিন্ন খাতে যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ও নারী-সংশ্লিষ্ট আরো প্রকল্পে ভাগ করা হয়। এই খাত থেকেই নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ ব্যয় হয়। যেমন কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার স্থাপন, কিশোরীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার’, এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রকল্প। আবার মোট বাজেট বরাদ্দ থেকে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে এবং শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতেও টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন আমাদের জেন্ডার-ভিত্তিক বাজেটিং দরকার? দরকার এজন্য যে, নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে জন্য বাজেটের প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। জেন্ডার-ভিত্তিক বাজেটিং নিশ্চিত করে যে বরাদ্দ নারীদের নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণে সহায়ক। দেশে যেহেতু অর্ধেক নারী এবং নারীর সাথে শিশু সংশ্লিষ্ট, তাই মোট বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যেমন ২০% থেকে ৩০% সরাসরি নারী-কেন্দ্রিক প্রকল্পে বা জেন্ডার সমতা বৃদ্ধির জন্য বরাদ্দ করা উচিত। যে দেশগুলোতে, নারীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং অর্থনৈতিক সুযোগ লাভে পিছিয়ে আছে, সেখানে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।
শিক্ষায় নারীদের পিছিয়ে থাকা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের মতো দেশে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতেই হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর জন্য বৃত্তি, প্রশিক্ষণ, নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য, স্যানিটারি পণ্য বিতরণ, মাতৃস্বাস্থ্য গ্রামীণ এলাকায় মোবাইল স্বাস্থ্য ক্লিনিক, নারীদের জন্য ফ্রি স্বাস্থ্য পরীক্ষা, এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার এখনও উদ্বেগজনক। নারী উদ্যোক্তা তৈরি, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, নারী নির্যাতন ও পারিবারিক সহিংসতা রোধ, এবং কর্মক্ষেত্রে হয়রানি প্রতিরোধে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন।
জাতীয় বাজেট যেন নারীর বাজেট হতে পারে, জাতীয় বাজেটে যেন সবধরনের কাজে নিয়োজিত নারীর প্রয়োজনের দিকটাকে মূল্য দেয়া হয় সেটা ভাবতে হবে। নারী অভিবাসীদের অনেকেই কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছেন। অর্থনৈতিক এই ক্ষতি ও স্টিগমা কাটিয়ে ওঠার জন্য নারী অভিবাসী কর্মীদের জন্য আলাদা একটা বরাদ্দ রাখা উচিত। যেন তারা দেশে এসে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে পারেন।
বর্তমানে বাজেটের বরাদ্দ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকে, যা নারী-কেন্দ্রিক প্রকল্পের কার্যকারিতা কমায়। যেমন বাংলাদেশে ৪৪টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার বাজেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তাই এর সুনির্দিষ্ট প্রভাব পরিমাপ করা কঠিন। সেজন্য সুনির্দিষ্ট জেন্ডার বাজেট রিপোর্ট প্রকাশ করা দরকার, যেখানে নারী-কেন্দ্রিক প্রকল্পের ফলাফল পরিমাপ করা যাবে।
জেন্ডার বাজেটিং এর মাধ্যমে নারীর জন্য আলাদা বাজেট নয়, বরং মূল বাজেটে এমন করে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে, যেন সেটা নারী-পুরুষ সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছে। জেন্ডার বাজেটিং হলো এই বাজেটে জেন্ডার সমতা কতটুকু থাকছে, তা তুলে ধরা। এ বাজেটে নারী কী পাবে, কোন প্রকল্পে সে কীভাবে উপকৃত হবে, তা জেন্ডার বাজেটে উঠে আসা উচিত। সবার সঙ্গে যে বরাদ্দ থাকে, সেটিকে পৃথকভাবে নারীর জন্য বরাদ্দ বলা যায় না। আবার এই অপর্যাপ্ত বরাদ্দও ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয় না।
তাই নারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে। যেমন, বরাদ্দকৃত বাজেটের মাধ্যমে নারীর জীবনের কোন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলো, সে বিষয়ক তথ্য-উপাত্ত খতিয়ান আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনের সময় উত্থাপন করতে হবে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বরাদ্দকৃত জেন্ডার বাজেটের কার্যক্রমগুলো কীভাবে সরাসরি নারীর ক্ষমতায়ন ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালার কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত, তার অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রতি বছর তৈরি ও জনসমক্ষে পেশ করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নেওয়া কৌশলগুলো কতটুকু জেন্ডার চাহিদা পূরণ করছে এবং এর অগ্রগতি কতটুকু সে বিষয়ক সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পাশাপাশি গুণগত বিশ্লেষণের পরিমাপক তা নির্ধারণ করতে হবে।
লেখক : যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।
মন্তব্য করুন